ধানের পরই পশ্চিমবঙ্গে যে খাদ্যটির চাহিদা বেশি সেটি হল গম। আবার হাইব্রিড গম চাষে মিলবে প্রচুর ফলন! আর সেই কারণেই হাইব্রিড গম চাষে ঝুঁকছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষকরা। এই হাইব্রিড গম চাষের উপযুক্ত সময় হলেও কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ। কিন্তু কিছু কিছু জাত আছে যেগুলো কিছুটা তাপ সহনশীল, সেগুলো ডিসেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখ পর্যন্ত বোনা যেতে পারে। যে সব এলাকায় ধান কাটতে ও জমি তৈরি করতে দেরী হয় যেসব এলাকায় গমের বীজ বপন করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতকালে গরম জলে নাকি ঠান্ডা জল খেলে সুস্থ থাকবে শরীর? জানালেন চিকিৎসক
আরও পড়ুন: শরীরের জন্য দারুণ উপকারী! কাচের নয়, এবার সুরার আনন্দ নিন এই মাটির গবলেটে!
উঁচু ও মাঝারি দো-আঁশ মাটি গম চাষের জন্য বেশি উপযোগী৷ একর প্রতি গম বীজের প্রয়োজন হয় ৪৮ কেজি বা বিঘা প্রতি ১৬ কেজি। গমের ফলন শতকরা ১০-১২ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। গমের ভাল ফলন পাওয়ার জন্য জমি চাষ করার সময়ই প্রতি শতকে ৩০-৪০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত। রোগ প্রতিরোধী গমের জাত হিসেবে কাঞ্চন, আতবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ ও গৌরবের চাষ করা হলেও হাইব্রিড জাতের গমের ফলন ভাল হওয়ায় অনেক কৃষক এই গমের প্রতি ঝুঁকছেন।
পিয়া গুপ্তা






