তীব্র শীতের সময় সাধারণভাবে কাদাময় বা ভেজা বীজতলায় সব সময় জল ধরে রাখতে হবে এবং স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা দরকার।ঠান্ডার কারণে বীজতলায় কিছু কিছু জায়গায় চারা ধসে পড়ে বা বসে যেতে পারে। চারায় ধসে বা বসেপড়া রোগ দেখা দিলে বীজতলা থেকে জল সরিয়ে দিতে হবে এবং এক শতাংশ বীজতলায় ৫০ গ্রাম হারে এমওপি বা পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। তীব্র শীতের সময় চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দেখা দিতে পারে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দমনের জন্য রোগের প্রাথমিক অবস্থায় অর্থাৎ শুরুর দিকে এমিস্টার টপ বা এ জাতীয় যে কোনো ছত্রাকনাশক ২ মিলি লিটার এক লিটার জল মিশিয়ে দুপুরের পর স্প্রে করতে হবে। বীজতলার চারা হলুদ হলে এক শতক জমিতে ২৮০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া প্রয়োগের পর চারা সবুজ না হলে এক শতক জমিতে ৪০০ গ্রাম হারে জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা রোপণের সময় শৈত্যপ্রবাহ থাকলে কয়েকদিন দেরি করে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে চারা রোপণ করতে হবে। রোপণের জন্য কমপক্ষে ৩৫-৪৫ দিনের চারা ব্যবহার করতে হবে। এ সময় চারা রোপণ করলে শীতে চারা কম মারা যায়, চারা সতেজ থাকে এবং ফলন বেশি হয়।
আরও পড়ুন: Madhyamik 2025: পরীক্ষা শুরু ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে ৩০ জানুয়ারি, পড়ুন বিস্তারিত
রোপণের পর শৈত্যপ্রবাহ হলে জমিতে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি জল ধরে রাখতে হবে।এছাড়াও বোরো ধান চাষ করতে গেলে ধান লাগাবার ২১ দিন পর মাজরা পোকার উপদ্রব দেখা যায়। মাজরা পোকার লার্ভা ধান গাছের কাণ্ডের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে ও ভিতর থেকে কাণ্ডকে কুড়ে কুড়ে খায়। এ পোকার আক্রমণে সাধারণত ১৩ থেকে ২৬ ভাগ ফলন কম হতে পারে। তাই এই সময় ভাল করে জমিতে জল স্প্রে করতে হবে। এছাড়া ভায়েগো ২০ এসসি, ইনসিপিয়ো ২০এসসি, ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি,মাজরা পোকা দমনে এই ধরনের কিছু কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
পিয়া গুপ্তা