খানিক অবাক হচ্ছেন তো! ঘরের কোণে বৃষ্টির জল টপটপ শব্দে পড়ছে, মাটির মেঝেতে বিছানা। রান্না হবে তখনই, যখন দিদিরা কাজ সেরে ঘরে ফিরবে—হাতে থাকবে চালের থলি। এটাই জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া করলাভেলী চা বাগানের এক শ্রমিক পরিবারের প্রতিদিনের বাস্তবতা।
advertisement
চারজনের পরিবার। বাবা অসুস্থ, চিকিৎসার খরচ চালানো দুষ্কর। সংসারের হাল ধরেছে দুই মেয়ে, যারা চা বাগানে পাতা তুলে যা মজুরি পান, তাই দিয়েই কোনওরকমে চলছে ঘরের খরচ। ছোট ভাই পড়াশোনার বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে দিনের পর দিন অভাবের বাস্তব শিখছে। ঘরের ছাউনিতে ফুটো, বর্ষার দিনে মাটির ঘরে জলের স্রোত। ঘুমানোর জন্য নেই চৌকি পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্প এল, বহু পরিবার উপকৃতও হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেকেই রয়েছেন সেই সুবিধার বাইরে। এই পরিবারগুলোর জীবনে এখনও আসেনি আলো।
শুধুই অভাব নয়, আছে অবহেলাও। তবুও দমে যায় না এই দুই বোন। ঘরে বাবা, ভাই—সবাইকে নিয়ে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা চুপচাপ, নিরলস। এভাবেই “লোকাল ১৮”-এর চোখে ধরা পড়ল করলাভেলী বাগানের শ্রমজীবী বাস্তবতা। এলাকাবাসীদের প্রশ্ন, আর কতকাল তারা থেকে যাবে প্রান্তিক? উন্নয়নের ছায়া কি একদিন পড়বে এই ঘরগুলোতেও? প্রশ্ন তুললেও, উত্তর অধরা!





