অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা দুলাল দাশের একটি ছাগলকে এক কুকুর কামড় দেয়। প্রতিশোধ হিসেবে তিনি মৃত ছাগলের মাংসে প্রচুর বিষ মিশিয়ে চা-বাগানে ছড়িয়ে দেন। এরপর একে একে কুকুর মরতে শুরু করলে গ্রামবাসীরা বিষয়টি লক্ষ্য করে। গ্রামবাসীদের নানান প্রশ্নের মুখে দুলাল দাশ স্বীকার করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি এই ফাঁদ পেতেছিলেন। এ পর্যন্ত ১৫টি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। এর মধ্যে ২টির মৃতদেহ কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও, বাকিগুলো আগেই মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ, মৃত কুকুরদের মধ্যে একটি একসময় লেপার্ডের সঙ্গে লড়ে গৃহপালিত গরু ও বাড়ির মানুষদের রক্ষা করেছিল। অথচ আজ সেই কুকুরকেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি ভোগ করতে হল।প্রাণীপ্রেমীরা আশঙ্কা করছেন, বিষাক্ত মাংস খেয়ে ময়ূর বা শিয়ালের মতো অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যুও হতে পারে। চা-বাগানে প্রতিদিন বহু ময়ূর ঘোরাফেরা করে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয় প্রাণী সুরক্ষা সংস্থার দাবি, “প্রশাসন এলেও কুকুর বলে মৃতদেহ গাড়িতে তুলতে অস্বীকার করেছে। আমরা নির্বাক প্রাণীদের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।” ঘটনাটি শুধু প্রাণী হত্যাই নয়, বরং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর সম্ভাব্য বিপদের সতর্কবার্তা। সমাজ কি এই নৃশংসতায় মুখ ফিরিয়ে নেবে, নাকি আইনগত ব্যবস্থা ও সচেতনতার মাধ্যমে এমন অপরাধ রোধে এগিয়ে আসবে—সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে।






