গরুমারা জাতীয় উদ্যান ঘেঁষা রামসাইয়ের বুক চিরে ছুটে যেত বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলের কালো ধোঁয়া উড়িয়ে চলা ট্রেন। আজ সেই পথ নিস্তব্ধ। হাতির করিডর হয়ে ওঠা জঙ্গলপথে আর শোনা যায় না রেলের বাঁশি, বরং দিনকে দিন পর্যটকের ভিড় কমছে এইসব অঞ্চলে। স্থানীয়দের দাবি, এই পতন রুখতে হলে ফিরতে হবে অতীতে। তাদের কথায়, “টয় ট্রেনই পারে রামসাইকে বাঁচাতে।”
advertisement
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে ঝড় বৈভবের! ৯৫ বলে ১৭১ রান করে নজির সূর্যবংশীর, কাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড গড়লেন?
দোমোহনির পুরোনো বেঙ্গল ডুয়ার্স রেল সদর দফতর ও রামসাই স্টেশন—একসময় রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। ১৯৬৮ সালের ৪ অক্টোবরের বিধ্বংসী তিস্তার বন্যায় এক ধাক্কায় বদলে যায় এই জনপদের ভাগ্য। লাটাগুড়ি–রামসাই রেলপথ ভেসে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। সেই ক্ষত আজও বয়ে বেড়াচ্ছে স্থানীয়রা। রাজ্যের উদ্যোগে রামসাইকে পর্যটন মানচিত্রে ফের তোলার চেষ্টা হলেও সাড়া মিলছে সামান্যই। জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের মতে, “রামসাইয়ের গল্পটাই হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে আবার এখানে টানতে হলে চাই নস্ট্যালজিয়ার ছোঁয়া হোক টয় ট্রেন পরিষেবা।”
আরও পড়ুন: বিঘের পর বিঘে জমির মালিকানা বদলে দিচ্ছে জমি মাফিয়ারা! মাথায় হাত জমির মালিকদের
স্থানীয়দের বিশ্বাস, জঙ্গলপথে ছোট রেলের শব্দ ফিরলে বদলে যাবে এলাকার রোজগার, চাঙ্গা হবে হোমস্টে-সহ ক্ষুদ্র ব্যবসা। বনজঙ্গলের সঙ্গে সহাবস্থানে পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। ১৩২ বছর আগের সেই স্মৃতিকে আবার জীবন্ত করে তোলা—এটাই এখন রামসাইবাসীর একমাত্র চাওয়া। তাদের আশা, সরকারের উদ্যোগ ও স্থানীয় মানুষের স্বপ্ন মিলেমিশে একদিন আবারও বেজে উঠবে রামসাই স্টেশনের সেই বহু প্রতীক্ষিত রেলের বাঁশি।





