আরও পড়ুন: নীল-সাদা হয়ে গেল সাদা-কালো! সেতুর রং পরিবর্তন নিয়ে তুমুল তর্জা
কোচবিহারের এই চায়ের দোকানে পরিবেশ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাই দেখে বহু পর্যটক এখানে ছুটে আসছেন। দোকানে আসা দুই গ্রাহক আবীর ঠাকুর ও বিভা ঠাকুর জানান, বেশিরভাগ সময় সন্ধে নামার সময় এই চায়ের দোকানে আসেন তাঁরা। এই সময়ের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে পাওয়া যায় তার সঙ্গে গরম গরম চা মিলে গিয়ে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরি করে। এই পরিবেশে কিছুক্ষণ থাকলেই মানসিক ক্লান্তি দুর হয়। আর চায়ের কাপ হাতে আড্ডা দেওয়ার যে মজা সেটা আরও দ্বিগুণ হয়ে যায় এই চায়ের দোকানে। তাই প্রত্যেক মানুষের অন্তত একবার এই দোকানের পরিবেশ উপভোগ করতে আসা উচিত। এছাড়া এখানে রকমারি চা পাওয়া যায়। তারফলে চায়ের আড্ডা আরও জমে ওঠে। সব মিলিয়ে এই চায়ের দোকান অন্যান্য চায়ের দোকানের চাইতে অনেক বেশি জনপ্রিয় বর্তমান সময়ে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
চায়ের দোকানের কর্ণধার দেবাশিস অধিকারী জানান, এই চায়ের দোকান শুরু করা হয়েছিল এক আলাদা চিন্তাভাবনা থেকে। এটা শুধু চায়ের দোকান তা কিন্তু হয়। এটা একটা আবেগের জায়গা। এখানে চায়ের পাশাপশি রয়েছে বই। এছাড়াও রয়েছে নদীর ধারের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। আর বর্তমান সময়ে দোকানে আরও কিছু নতুন চা নিয়ে আসা হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন বছরের বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন থাকতে চলেছে দোকানের মধ্যে। আরও কিছু বই যুক্ত হবে এই দোকানের মধ্যে। বসার জায়গায় কিছুটা পরিবর্তন হবে। তবে শহরের মাঝে এমন আর কোনও চায়ের দোকান নেই। তাই শুধুমাত্র কোচবিহারের মানুষেরাই নয়, বাইরে থেকে আসা পর্যটকেরাও এই চায়ের দোকানের প্রতি আকৃষ্ট হন।
সার্থক পণ্ডিত