TRENDING:

Boxer: প্রতিষ্ঠিত হওয়াই লক্ষ্য মৌমিতার, বক্সিং রিং তাঁর সব থেকে ভালবাসার জায়গা 

Last Updated:

ছোট বেলা থেকেই কাঁটার পথে হেঁটে বড় হয়েছে প্রত্যন্ত চা বাগানের এই মেয়ে। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়ে বাস্তব জগতকে আরও ভাল করে বুঝে যায় সে। মনের মধ্যে ছিল অসম্ভব সাহস। জ্বলছিল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ফুলকি। সেই থেকেই বক্সিং গ্লাভসকেই ভালবেসে ফেলে মেয়েটি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরপাড়া, অনন্যা দে: ছোট বেলা থেকেই কাঁটার পথে হেঁটে বড় হয়েছে প্রত্যন্ত চা বাগানের এই মেয়ে। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়ে বাস্তব জগতকে আরও ভাল করে বুঝে যায় সে। মনের মধ্যে ছিল অসম্ভব সাহস। জ্বলছিল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ফুলকি। সেই থেকেই বক্সিং গ্লাভসকেই ভালবেসে ফেলে মেয়েটি।
advertisement

ছোট গ্রাম থেকে বড় স্বপ্ন নিয়ে বক্সিং রিং কাঁপিয়ে বেরচ্ছে  মৌমিতা খাতুন। আলিপুরদুয়ার জেলার সবুজ চা বাগানের কোলে থাকা ছোট এক গ্রাম থেকে উঠে এসে নিজের লড়াইয়ের জোরে গোটা উত্তরবঙ্গে পরিচিতি পেয়েছে চা বাগানের মেয়ে মৌমিতা খাতুন। আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের হান্টাপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা মৌমিতা এখন ডুয়ার্সের গর্ব। চা শ্রমিক পরিবারের জন্ম এই মেয়ের। শৈশবেই বাবাকে হারানোর পর মা একাই সংসারের ভার কাঁধে নেন।

advertisement

প্রতিদিন বাগানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চা পাতা তোলা ঘরে ফিরে, তিন সন্তানকে মানুষ করার সংগ্রাম,এই কঠিন বাস্তবতাই মৌমিতার জীবনে গড়ে তুলেছিল লড়াইয়ের মানসিকতা। মাদারিহাট স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থেকেই শুরু হয় তার পথচলা। পরে ফালাকাটা কলেজে ভর্তি হয়ে খেলায় আরও মন দেয় সে।

প্রথমে ক্যারাটে দিয়ে শুরু হলেও সিকিমে এক প্রতিযোগিতার সময় জীবনের মোড় ঘুরে যায়  সেখানেই প্রথমবার হাতে পরে বক্সিং গ্লাভস।সেই প্রথম সুযোগই জীবনের দিশা দেখায় মৌমিতাকে। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকায়নি সে। কঠিন সংগ্রাম সীমাহীন পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে সঙ্গী করে একের পর এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে শুরু করে।বাড়ি থেকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। গাড়ি ভাড়ার টাকাও অনেক সময় থাকত না। তবুও সে হাল ছাড়েনি। অনেকদিন হেঁটে আবার কখনও বন্ধুদের সাহায্যে পৌঁছে গিয়েছে প্রশিক্ষণ নিতে।

advertisement

আরও পড়ুন- স্বামীজিকে জানা আরও সহজ, নয়া উদ্যোগ জেলায়! বর্ধমান বেড়াতে গেলে মিস করবেন না

এই মেয়েটি জেলা ও রাজ্য স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ২৫টি মেডেল জিতে নিয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারের এই মেয়ে আজ গোটা উত্তরবঙ্গের পরিচিত মুখ ডুয়ার্সের গর্ব।মৌমিতা জানান, ” মা আমাকে কখনো থামতে দেননি। মা-ই আমার অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকে দেখেছি মা কীভাবে লড়ে গেছেন, আমি শুধু সেই লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি রিংয়ের ভেতরে।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য সুখবর! এবার বিনামূল্যে টিউশনি-পড়াশুনা বারাসাতে
আরও দেখুন

মৌমিতার মা আজও বাগানে কাজ করেন। তবুও মুখে লেগে থাকে তাঁর তৃপ্তির হাসি। তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে গর্বিত।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Boxer: প্রতিষ্ঠিত হওয়াই লক্ষ্য মৌমিতার, বক্সিং রিং তাঁর সব থেকে ভালবাসার জায়গা 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল