শুধু বাঁধের কাজই নয়, আগামীতে ওই বাঁধ দিয়েই শহরের বিকল্প রাস্তা তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি ওই আত্রেয়ীতে খাঁড়িতে বড় প্রজেক্ট করে সৌন্দর্যায়ন করা হবে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, সেচ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অঙ্কুর মিশ্র, পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র সহ অন্যান্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চপ, ঘুগনি, ফুচকা নিয়ে স্কুলে হাজির ছাত্রীরা, কিনতে ভিড় শিক্ষক-শিক্ষিকা, সহপাঠীদের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিবছর বর্ষার পর নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই তাসের ঘরের মত বেশকিছু বাড়ি ভাঙ্গনের কবলে পড়বার পাশাপাশি বেশকিছু বাড়ি তলিয়ে যায় খাড়ির গর্ভে। বালুরঘাট শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাড়ির পশ্চিম পাড়ের এই সমস্যা নতুন নয়। দীর্ঘদিন যাবত প্রায় শতাধিক বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে এলাকার। দীর্ঘ সময় খাড়ি লাগোয়া বাড়িগুলিতে জল ঢুকে থাকায় জল নামতেই বাড়ি ভাঙতে শুরু করে। চলতি বছরেও একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন এলাকাবাসী। প্রতিবছরই জল বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হত। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে খাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়াতে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
সেচ দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডেই মূলত ওই কাজ হবে। একেবারে দিশারি ক্লাব থেকে একেবারে মোটরকালী ব্রিজ অবধি প্রায় ৫৫০ মিটার এই গার্ডওয়াল দেওয়া হবে। বিগত দিনে অনেক বাড়িঘর এই খাড়ির ভেতরে তলিয়ে গিয়েছে। এবারে ওই খাড়ির পাড় বাঁধা হলে আর বাড়ি ঘর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। তবে বালুরঘাট শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী খাড়িতে দখলের নানা অভিযোগ রয়েছে। তাই বাঁধের ফলে আর দখল হবে না। ফলে দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে এবার রেহাই পাবে স্থানীয়রা।
সুস্মিতা গোস্বামী





