মালদহের মোথাবাড়ি থানার বাবলা মাঠ এলাকার এই কামার যেন টেকনিশিয়ান। হাপর এর সঙ্গে বাতাসের যান্ত্রিক মেশিন ফিট করে চলছে লোহা গলানোর কাজ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রমের কাজ এখন হচ্ছে মুহুর্তে। আয়ও বেড়েছে দ্বিগুণ। কোনওদিন ৫০০, তো কোনওদিন হাজার আবার কোনওদিন দুই হাজার টাকা রোজগার হয়ে যায় এই কাজ করে বলে জানান কামার রাজকুমার কর্মকার।
advertisement
কামারের ছেলে বিকাশ কর্মকার জানান, “আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে দ্রুত কাজ হওয়ায় বেশি কাজ করতে পারছি। আগে হাপর দিয়ে কাজ করতাম অনেক সময় লাগতো। এখন হাপরের পাশেই বাতাসের জন্য একটি মেশিন বসানো হয়েছে। আগে থেকে অনেকটাই আরামদায়ক এবং দ্রুত কাজ হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: মঙ্গলের জোড়া গোচরে ডবল ধামাকা! ৩ রাশির শুরু হবে গোল্ডেন টাইম, কেরিয়ারে সাফল্যের ঝড়, টাকার বৃষ্টি
দোকানে লোহা সরাই করাতে আসা এক ক্রেতা জানান, “ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি বহু পরিশ্রমের পর লোহার কোনও সামগ্রিক তৈরি করা যেত। এখন দেখছি বিভিন্ন রকম মেশিন তৈরি হওয়ায় সেই কাজ দ্রুত এবং সহজে হচ্ছে।”
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে কাজে লাগিয়ে নিজেই তৈরি করেছেন সহজ পদ্ধতি। বৈদ্যুতিক পদ্ধতির সাথেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হলে কাজে আসছে হাপর। কামারের এমন কারিগরি নজর কেড়েছে সকলের।





