তুফানগঞ্জ এলাকার ব্যক্তি সমীর দত্ত জানান, “তিনি দীর্ঘ সময় ধরে চাষাবাদ করতে পছন্দ করেন। তবে তিনি গতানুগতিক চাষাবাদের বাইরে একটু আলাদা ধরনের চাষাবাদ করতে পছন্দ করেন। তাই তিনি বছর সাতেক আগে এই রামবুটান ফলের চাষ শুরু করেন। প্রথমে তিনি শিলিগুড়ি থেকে তিনটি গাছের চারা এনেছিলেন। এরপর তিনি আরও কয়েকটি চারা নিয়ে এসেছিলেন। বিগত তিন বছর ধরে এই ফলের চাষ থেকে ভাল টাকা উপার্জন করেছেন তিনি। এছাড়া এই ফলের চাহিদা বাজারে রয়েছেও বেশ অনেকটাই। তাই এই ফলের থেকে লাভ নিশ্চিত।”
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ২০ টাকা দিলেই মিলছে…! দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ, কীসের টানে? জানলে চমকে যাবেন
তিনি আরোও জানান, ” জেলার কৃষকেরা চাষের সঠিক পদ্ধতি না জানায় এই চাষ আগে হয়নি জেলার মধ্যে। মূলত এই ফলের চাষ করতে নিকাশি যুক্ত, এঁটেল-দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ মাটির প্রয়োজন। এছাড়া মাটির pH 5.5 থেকে 6.5 এর মধ্যে থাকা উচিত। গাছে ফুল আসার সময় এবং ফল আসার পর সাধারণ কীটনাশক স্প্রে করা ভাল।” কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি অমল রায় জানান, “এই ফলের চাষ করার মাধ্যমে লাভ রয়েছে অনেকটাই। এছাড়া এই চাষের ক্ষেত্রে একবার চাষ করলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত লাভ পাওয়া সম্ভব।”
আরও পড়ুন: কোচবিহার থেকে দিঘার বাস কখন ছাড়বে? ভাড়া কত? প্রথমে টিকিটের দামে মিলবে ছাড়
এই গাছের ক্ষেত্রে বছরে দু’বার ফুল আসে। একটা গরমের মরসুমে আরেকবার শীতের মরসুমে। তবে মূলত গরমের মরসুমে এই ফলের বেশি চাহিদা দেখতে পাওয়া যায়। উত্তরভারতে খুব একটা বেশি এই ফলের চাষ দেখতে পাওয়া যায় না। তাই এই ফলের চাহিদা থাকে বাজারে অনেকটাই। বর্তমানে জেলার এই ব্যক্তি বেশ অনেকটাই ভাইরাল এই বিশেষ ফলের চাষ করে।
Sarthak Pandit