জলপাইগুড়ির বানারহাট চা বাগানে বেড়ে ওঠা মেয়েটি আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষিকা! স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটকেই হাতিয়ার করে ইংরেজি শেখার লড়াই শুরু করেছিলেন শ্বেতা। আর সেই লড়াই-ই আজ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে দুবাই, সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ ও নেপালের বহু শিক্ষার্থীর ঘরে।
advertisement
আজ শ্বেতা এলাকার গর্ব! মাত্র ২৩ বছর বয়সেই অনলাইন শিক্ষিকা হিসেবে নিজস্ব পরিচিতি তৈরি করেছেন তিনি। কী ভাবে বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী থেকে আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষিকা হয়ে উঠলেন শ্বেতা? নিজেই জানান, এক সময় বাংলায় কথা বলতেই স্বচ্ছন্দ ছিলেন, ইংরেজি ছিল এক বড় আতঙ্ক। কিন্তু নিজের জেদের জোরেই ভেঙেছেন সেই বাধা।
ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খুলে নিয়মিত ইংরেজি শেখার ভিডিও দেন শ্বেতা, যা ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। বাড়ছে ফলোয়ারের সংখ্যা, বাড়ছে প্রশিক্ষণার্থীদেরও ভরসা।বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজিতে কথা বলার প্রশিক্ষণ দেন তিনি। তার শেখানোর পদ্ধতি সহজবোধ্য, প্রাণবন্ত আর বাস্তবমুখী — যা চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার বহু শিক্ষার্থীর মন জয় করেছে।
শ্বেতা বলেন, “আমি বাংলা মাধ্যম থেকে পড়াশোনা করেছি। প্রথমে প্রচুর সমস্যা হত। কিন্তু মোবাইল আর ইউটিউবই আমার শিক্ষক হয়ে উঠেছিল।” তবে এখানেই থামতে চান না শ্বেতা। তাঁর লক্ষ্য — ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকার শিশুরা যেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে।
বিশেষ করে চা বাগানের শিশুদের শিক্ষিত ও আত্মনির্ভর করে তুলতেই তার এই প্রচেষ্টা।একটি স্মার্টফোন, একটু ইচ্ছাশক্তি — এই দুই-ই পারে বদলে দিতে ভবিষ্যৎ। শ্বেতা তার জীবনের গল্প দিয়ে সে কথাই প্রমাণ করছেন!
সুরজিৎ দে