চা চাষের জন্য যেখানে খরচ বেশি, সেখানে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই জমিকে কৃষির কাজে ব্যবহার করতে দিয়ে এক অভিনব উদাহরণ গড়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। তারা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সেই জমিতে তরমুজ চাষের অনুমতি দেয়। শ্রমিকরা জানান, জমিতে এখন চার ধরনের তরমুজ ফলছে—যার চাহিদা বাজারে বেশ ভাল। এতে উপার্জনের নতুন পথ খুলেছে। কেউ কেউ বলছেন, পাতা তোলার মরশুমের বাইরেও এখন অর্থের জোগান আসছে ঘরে।
advertisement
আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে রাজ্যে আসত বিশেষ জিনিস, দেদার চলত ব্যবসা! পাকিস্তানকে সমর্থন জানাজানি হতেই যা ঘটল…
স্থানীয় এক যুবক বলেন, “চা বাগানে কাজ না থাকলে ভাবতাম কী করব। এখন তরমুজ চাষেই সংসারে খানিকটা স্বস্তি এসেছে।” এই উদ্যোগে শুধু বিকল্প আয়ের পথ নয়, তৈরি হয়েছে আত্মনির্ভরতার মজবুত ভিত। এই উদ্যোগে শুধু চা শ্রমিকরাই নন, স্থানীয় বেকার যুবকরাও পেয়েছেন কাজের সুযোগ। বিকল্প আয়ের এই পথ তৈরি করে ভান্ডিগুড়ি চা বাগান দেখিয়ে দিল, সদিচ্ছা থাকলে বদলে দেওয়া যায় অনেক কিছু।
আরও পড়ুন: সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিরাট নজির এই কলেজের! ধন্য ধন্য করছে সবাই
ভান্ডিগুড়ি চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়, “পতিত জমির সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম, এখন দেখছি শ্রমিকদের মুখে হাসি—এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য।” তাই তরমুজ এখন শুধু ফল নয়, হয়ে উঠেছে ভরসা। এই উদ্যোগ দেখিয়ে দিল, ফেলে রাখা জমিও নতুন জীবনের দিশা দিতে পারে!
সুরজিৎ দে





