দিনের পর দিন উপযুক্ত রোজগার না থাকা না হওয়ার ফলে তাদের সংসারের লক্ষ্মীর ভান্ডারে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এর পাশাপাশি ব্যাপক হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রিক্সা চালকদের।প্রতিদিন অর্থ উপার্জনের আশাতে রিক্সা চালকরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। সময় যদি ভাল যায় তাহলে দুই-একশো টাকা পকেটে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যদি ভাড়া না মিলে তবে খালি হাতে ঘরে ফেরা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। টোটোর ভিড়ে আজ প্রাধান্য হারিয়েছে চিরাচরিত রিক্সা।দৈনন্দিন সংসার চালানোর ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রিক্সা চালকদের।
advertisement
আরও পড়ুন-গপগপ করে ফুচকা তো খাচ্ছেন, এই জল দিয়ে খেয়েছেন কি? জিভে জল আসবেই!
আরও পড়ুন-নাবালিকাকে অন্ধকারে টেনে নিয়ে গিয়ে এ কী করল যুবক! পরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর
চালকদের পক্ষ থেকে জানা যায়, শহর জুড়ে অতিরিক্ত টোটো হবার ফলে রিক্সাতে মানুষ আর চড়তে চায় না বললেই চলে। তবে প্যাসেঞ্জার পেলে তাদের আর আনন্দের সীমা থাকে না আজও।তবে এখনও কিছু রিক্সা চালক ঋণ নিয়ে টোটো কেনার কথা চিন্তাভাবনা করলেও পিছিয়ে আসছে তারা। ঋণ নেবার পর তা পরিশোধ না করতে পারলে বেঁচে থাকার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।তাদের ভাষায় এই আছি ভাল আছি। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বালুরঘাট শহরে রিক্সা মেলা দায়।
শহরের বাসস্ট্যান্ড, থানা মোড়, সাধনা মোড়, রঘুনাথপুর সহ শহরের একাধিক জায়গায় একটা সময় বিশাল রিক্সা রিক্সার স্ট্যান্ড দেখা মিলত। তবে সেসব আজ অতীত।শুধুমাত্র যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে নয় স্বল্প দূরত্বের মালপত্র নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে টোটো।টোটোর ক্ষেত্রে যেমন একসঙ্গে বেশ কিছু যাত্রী একসঙ্গে নেওয়া যায় তেমনি শারীরিক পরিশ্রম অনেকটাই কম। এর ফলে অনেক রিক্সা চালক টোটো চালাতে বেশি পছন্দ করছে।আবার টোটোর মাধ্যমে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় সাশ্রয় হবার ফলে যাত্রীদের কাছে পছন্দের জায়গা করে নিয়েছে।একটা সময়ে বালুরঘাট শহর জুড়ে বহু রিক্সা চালকরা তাদের সংসার অতিবাহিত করত এই রিক্সা চালিয়ে, কিন্তু সেসব আজ অতীত শহর জুড়ে অতিরিক্ত টোটো হওয়ার ফলে রিক্সা নেই বললেই চলে।
সুস্মিতা গোস্বামী