অতিথিদের কিচির-মিচির ডাক শুনতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে অনুভব করতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন। জলপাইগুড়ির দক্ষিণ পাড়ার বিলে এমনই পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটেছে। আর এই পরিযায়ী পাখিদের ওপর যাতে চোরাশিকারিদের নজর না পড়ে সে কারণে এই গ্রামের লোকেরাই পাহাড়া দিচ্ছেন পাখিদের। পাখির কোলাহলেই ঘুম ভাঙ্গে দক্ষিণ পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা বিকাশ রায়ের। জানালা খুলেই চোখে পড়ে অপরিচিত মুখ। রং-বে-রঙের অচেনা পাখির সমারহ। কারও ঠোঁটটা একটু বেশি বড় কারও আবার চেহারাটা অনেকটা হাঁসের মত।
advertisement
আরও পড়ুন:শীতের গাছে দ্রুত ফুল ফুটবে! শুধু মেনে চলুন সহজ কয়েকটি টিপস
কিন্তু নামটা কী? জানা নেই কারও। তাই ক্ষেতের কাজ করতে করতে ওদের গুঞ্জন আর বিচরণ দেখতে দেখতেই দিন কাটছে ওই এলাকার মানুষজনের।পরিযায়ী পাখি! শব্দটা তো অনেকেরই জানা। কিন্তু এরা কারা জানেন কি? প্রায় প্রতি বছর পৃথিবীর কোনও না কোনও দেশ থেকে বিশ্বের অন্য অঞ্চলে চলে যায় এই পাখিরা একটি বিশেষ ঋতুতে। সে ঋতু সমাপনীতে আবার ফিরে যায় আগের জায়গায়। এই আসা-যাওয়া চলতে থাকে প্রতি বছর কমবেশি একই সময়কালে।
আরও পড়ুন:হেরিটেজ বিল্ডিং এখন বাসর ঘর! ঐতিহ্যবাহী ইউরোপিয়ান ক্লাবের গরিমা ধুলোয় লুটোপুটি
পক্ষী বিশেষজ্ঞরা বলেন, তাদের পরিযানের প্রধানত তিনটি কারণ- খাদ্যের সহজলভ্যতা, প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা আর বংশবৃদ্ধি। এবার দক্ষিণ পান্ডাপাড়ার এই বিলে প্রায় ১০-১২ হাজার পাখি এসেছে। তারমধ্যে দুই তৃতয়াংশই পরিযায়ী পাখি বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এক ধরনের বিশেষ শঙ্খচিলের পাশাপশি অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া এবং শীত প্রধান অঞ্চল থেকে প্রচুর অতিথি এসেছে এই বিলে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এদের বিজ্ঞান সন্মত নাম কেউ বলতে না পারলেও এলাকার মানুষ তাদের চিহ্নিত করছেন কানিবক, গোবগা, ধুপনি, গলিন্দা সহ নানা নামে।
সুরজিৎ দে