পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ঠিকাদার ভাদু বর্মনের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে কাজের জন্য চেন্নাই গিয়েছিলেন শিবেশ মূর্মু। তারপর থেকে বছর খানেক সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। প্রতিমাসেই বালুরঘাটের বাড়িতে টাকা পাঠাতেন। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত আর বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই শিবেশ মুর্মুর। দীর্ঘদিন ধরে সন্ধান না পাওয়ার ফলে বিপাকে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী হাঁসদা। তিনি সংসার চালানোর পাশাপাশি দুই ছেলেকে মানুষ করার জন্য বাধ্য হয়ে দিনমজুরি করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁশ, কাপড়, দড়ি দিয়ে ‘স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ’! সারাবছরের অপেক্ষা শেষ, পুজোর আগেই ‘ওঁদের’ মুখে ফুটল হাসি
উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রায় সাতজন পরিযায়ী শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছিলেন। ফের একই ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজকর্মীরা। এই বিষয়ে সমাজকর্মীদের বক্তব্য, অনেক সময় এই পরিযায়ী শ্রমিকরা বিভিন্ন র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি ভুল বুঝিয়ে বন্ডেড লেবার করে দেওয়া কিংবা অর্গান কিডনাপিংয়ের মতো বিষয়ের ফাঁদেও অনেক সময় এঁরা ভুল করে পা দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এতদিন আশায় ছিলেন হয়ত ফিরবে তাঁর স্বামী। যতবারই স্থানীয় ঠিকাদার ভাদু বর্মনের কাছে গেছেন ততবারই তিনি বলেছেন তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনা হবে এবং সেই কথাই বিশ্বাস করেছেন সহজ-সরল লক্ষ্মী মুর্মু। কিন্তু মাস গড়িয়ে বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও শিবেন মুর্মু ফিরে আসেনি বা পরিবারের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। তাই শেষ পর্যন্ত বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লক্ষ্মী মুর্মু। গোটা ঘটনা স্থানীয় ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সন্দেহ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।