কিন্তু আনন্দ-উৎসবের আবহের মাঝেই অনুযোগের সুর ভেসে উঠেছিল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের তেতুলতলা কালীমন্দিরের দুর্গাপুজো কমিটির কণ্ঠে। গতকাল জলপাইগুড়ির এবিপিসি ময়দানে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সরাসরি অনুদানের দাবি জানালেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সরে গেলেন সুশীলা, নেপালের Gen Z চায় কুলমান ঘিসিংকে! নতুন এই নাম ঘিরে তোলপাড়, কে ইনি জানেন?
advertisement
তাঁদের অভিযোগ, এই দুর্গাপুজো ২০০৯ থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেশ ধুমধাম করেই হয় এখানকার পুজো। কিন্তু, বিগত ছ’বছরে অনুদানের জন্যে আবেদন করার পরেও আজ পর্যন্ত সরকারি অনুদান মেলেনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবছরই পুজো কমিটিগুলিকে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন এবং আর্থিক অনুদান বরাদ্দ করেন। কিন্তু সেই তালিকায় জায়গা হয়নি তেঁতুলতলা কালীমন্দিরের নাম।
তেঁতুলতলা কালীমন্দির
পুজো কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, “এই পুজোতে আশপাশের কয়েকশো মানুষ মিলিত হন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও এখানে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি হয়। অথচ সরকারি অনুদান থেকে আমরা বঞ্চিত। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই এবার সরাসরি আবেদন জানালাম।” গ্রামের প্রবীণরা জানান, এই পুজো একসময় ছোট করে শুরু হলেও এখন তা গ্রামবাসীর সামাজিক সম্প্রীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তাই আর্থিক সহায়তা পেলে পরিকাঠামো উন্নত করা সম্ভব হবে।
জানা গিয়েছে, গতকাল জলপাইগুড়িতে সফলভাবে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির অসমমোর থেকে সভাস্থল অবধি হেঁটে আসতেই অসম মোর সংলগ্ন তেঁতুলতলা কালীমন্দিরের সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবেদন করেন পুজো অনুদানের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীকে তা জানাতেই সঙ্গে সঙ্গে অনুদানের ব্যবস্থার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এতেই মুখে হাসি ফুটেছে পুজো কমিটি উদ্যোক্তাদের।
এদিনের সফর শেষ করে উত্তরকন্যায় হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেঁতুলতলা পুজো কমিটির অনুদানের ব্যবস্থা করেন। ফলে আশায় বুক বাঁধছে তেতুলতলা কালীমন্দির দুর্গাপুজো কমিটি ও এলাকার মানুষ। খুশির আমেজ এলাকাজুড়ে।