জানা গিয়েছে, সোমবার মাঠে গরু চড়াতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। সেখানেই ইভটিজিংয়ের শিকার হন তিনি। স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ওঠে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের এক গ্রামে। অভিযোগের জেরে গ্রামের মাতব্বররা সালিশি সভা ডাকেন এবং অভিযুক্ত যুবককে তাঁরা নিজেরাই শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সুষ্ঠভাবে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় গ্রামবাসীদের কাছে। আর তা নিয়েই বাধে গণ্ডগোল।
advertisement
অভিযোগ, গ্রামবাসীরা মূল সড়কে পুলিশকে আটকে দেয় এবং পুলিশের গাড়ি গ্রামে প্রবেশে বাধা দেয়। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, লাঠি-সোঁটা নিয়ে একদল গ্রামবাসী পুলিশ বাহিনীর উপর চড়াও হয়। হামলা চালায়। বেধড়ক মারধরের শিকার হন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দুই সাব-ইন্সপেক্টর শঙ্কর রজক ও নিত্যানন্দ সাহা। বাধা দিতে গেলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি মনোজিৎ সরকারকেও লক্ষ্য করে হামলা চালান হয়। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। এলাকায় ব্যাপক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা। প্রশাসনের উপর প্রকাশ্য হামলা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।