বুধবার গভীর রাতে ফ্রিজে থাকা অবস্থায় গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই মানিকচক থানার পুলিশ বাহিনী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দেহ সমেত ফ্রিজকে গাড়িতে করে পাঠানো হয় নদিয়ার কল্যাণীর এইমস-এর উদ্দেশ্যে। শিউরে ওঠা এমন ঘটনা মালদহের মানিকচক ব্লকের হিরানন্দপুর অঞ্চলের কেদারটোলা গ্রামের।
advertisement
জানা গিয়েছে, গত ১৪ দিন আগে মালদহের মানিকচকের এক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ার শ্রীকান্ত মণ্ডলের মৃতদেহ। এই ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ তুলে সরব হয় মৃত পড়ুয়ার পরিবার। এরপর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় মানিকচক থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার পর পুলিশ রিপোর্টে পরিবারকে জানায় আত্মহত্যা করেছে তাঁদের ছেলে।
তবে আত্মহত্যার কথা মানতে নারাজ হয় পরিবার। ময়নাতদন্তে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিলেও সৎকার্য করেনি পরিবার। সঠিক ময়নাতদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পরিবার। আদালতে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ছেলের মৃতদেহ বাড়িতেই ফ্রিজের এবং বরফের মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃতের বাবা প্রেম কুমার মণ্ডল ও পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। সঠিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং দোষীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত দেহ সৎকার্য হবে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও রকম গাফিলতি হলে আবার ময়নাতদন্তের দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। এরপরই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় পরিবার।
বুধবার হাইকোর্টে মামলা করার প্রায় ১৪ দিন পর হাইকোর্টের নির্দেশ আসে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয় মৃতদেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হবে কল্যাণী এইমস-এ। সেই মতো বুধবার গভীর রাতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন পরিবারের সদস্যরা।
জিএম মোমিন