চলতি অগ্রহায়ণ মরশুমে রেশম গুটি বাজারে অভাবনীয় দাম উঠতেই জেলার রেশম চাষিদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। সকাল থেকেই চাঁচল, মানিকচক, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, কালিয়াচক ইত্যাদি এলাকার চাষিরা ট্রাক-ভ্যানে করে রেশম গুটি নিয়ে হাজির হন কালিয়াচক কোকুন মার্কেটে। এক রেশম চাষি নুর ইসলাম জানান, “বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর দ্বিগুণ গুণ দাম হয়েছে রেশম গুটির। এতদিন লাভের মুখ দেখতে পাইনি। তবে এ বছর মরশুমের শুরুতেই দাম পেয়ে খুব ভাল লাগছে। আগামীতে আবার আরও বেশি পরিমাণে চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
advertisement
এ প্রসঙ্গে মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, “ইতিমধ্যেই জিআই তকমা পেয়েছে মালদহের নিস্তারি রেশম। স্বভাবতই জেলার রেশম চাষের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা আশায় বুক বেঁধেছেন। এ বছর সেই আশা পূরণ হয়েছে তাঁদের। অতিরিক্ত পরিমাণ এমন দাম পেয়ে রেশম চাষের ক্ষেত্রে আরও আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে জেলার রেশম চাষিদের।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলায় প্রায় ৭০ হাজার পরিবার আজও এই রেশম চাষ ও শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এক সময় জেলায় অধিকাংশ বাড়িতে ঘাই মেশিনের মাধ্যমে তৈরি হত রেশম গুটি থেকে সুতো। তবে বর্তমানে রেশম শিল্পের সঙ্গে যুক্ত জেলার শ্রমিকরা এই কাজের জন্য পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণ ভারতের দিকে। পরিকাঠামোর অভাবের কারণে অনেকে বদলেছেন পেশাও। তবে এমন পরিস্থিতিতে জেলার উন্নতমানের রেশম গুটির দাম বৃদ্ধি হওয়ায় আবারও রেশম চাষ ও শিল্প ক্ষেত্রে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন জেলার রেশম চাষিরা।





