উৎসবের বাড়িতে রেলকর্মীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার থেকে রেলের কর্মী ও আধিকারিকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সৌরভকুমার আনন্দ শহরের ঝলঝলিয়ার রেল কলোনিতে থাকতেন। তিনি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বাবা এবং মা দুজনেরই রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাধে প্রায় ৪০ বছর ধরে ঝলঝলিয়ার রেল কলোনিতে থাকতেন সৌরভ। তিনি পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশন অফিসের ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে।
advertisement
রাতে সহকর্মীর ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুইমিংপুল মাঠে গিয়েছিলেন সৌরভ। জানা গিয়েছে, এদিন রাত ৯ টা নাগাদ রাতের খাবার খান তিনি। এরপর সহকর্মীদের সঙ্গে নাচানাচি করছিলেন। ঠিক সেই সময় তিনি আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে এক নার্সিংহোম এবং পরে রেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
মালদহের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” মৃতের সহকর্মী সুজিত দাস বলেন, “সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে আনন্দ করছিলাম। হঠাৎ করে সৌরভ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নার্সিংহোম থেকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে সব শেষ হয়ে যায়। তাঁর মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।” পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম মনীশকুমার গুপ্ত বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের পাশে আমরা আছি।”






