কেঁচো কিনে তার মধ্যে আগাছা, পরিমাণ মত মাটি ও অনান্য উপকরণ দিয়ে কেঁচো বাসযোগ্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানেই এই সার তৈরি হচ্ছে।গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এটি একটি অভিনব উদ্যোগ। এদিন প্রথম সার বিক্রি শুরু হয় এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিক থেকে অধ্যাপক কর্রীরা। পড়ুয়াদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি সার্বিক বিকাশের উদ্যোগে এই পরিকল্পনা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’ অভিনয়ে মালদহের যুবক, জেলার নাম উজ্জ্বল করলেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা। পড়াশোনার পাশাপাশি হাতে-কলমে কাজ শেখার পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। সার তৈরির পাশাপাশি আগামীতে অন্যান্য বিষয় নিয়েও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।” প্রথম পর্যায়ে বোটানি বিভাগে সার তৈরির ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের পড়াশোনার সঙ্গে এই সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এই ধরণের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অর্ধেক হয়ে গেল টিকিটের দাম, বেড়ে গেল ঘোরার সময়ও! পর্যটকদের সুখবর দিল রাজ্যের এই ইকো পার্ক
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি সার তৈরির ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে সার তৈরি হচ্ছে জৈব পদ্ধতিতে। সম্পূর্ণ জৈব এই সার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। বোটানি বিভাগের অধ্যাপক বিবেকানন্দ মন্ডল বলেন, বোটানি বিভাগেই এই সার তৈরি করা হচ্ছে। একশো শতাংশ জৈব পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে। এখান থেকেই সার কিনে পাবেন সাধারণ মানুষ। এক কেজি, দুই কেজি, পাঁচ কেজির প্যাকেট রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগ থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী বিক্রি করার কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
হরষিত সিংহ





