ইতিহাসবিদদের মত, ব্রিটিশরা নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কুঠি স্থাপন করেছিল এই ইংরেজবাজার শহরে। ব্রিটিশ শাসক নীলকর সাহেবরা তাদের উপনিবেশিক বাজার গড়ে তুলেছিলেন এই শহরে। ফলে এই শহরের নামের গুরুত্ব আজও অপরিসীম।
মালদহের ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহর মতে, মুঘল শাসকদের রাজত্বের শেষের দিকে যখন ব্রিটিশরা তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছিল, সেই সময়ের শিল্প ও বাণিজ্যকেন্দ্র পুরাতন মালদহে ব্রিটিশরা ইচ্ছেমতো বাণিজ্য করতে পারছিলেন না। তাই তারা স্বাধীনভাবে বসবাস এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য মালদহের মহানন্দা নদীর পশ্চিম দিকের ফাঁকা জায়গায় কুঠি স্থানান্তর করেন। সেখানে গড়ে তোলা হয় রেশম কাপড়ের একাধিক শিল্প কলকারখানা। এর পরই মালদহে বিকল্প নতুন বাজার এবং বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে ওঠে ইংরেজবাজার।
advertisement
এই শহরের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিতর্ক দেখা দিয়েছে বহুবার। যদিও ইতিহাসবিদদের মতে, এই ঐতিহাসিক নাম আসল জায়গার অন্যতম পরিচয়। এই নাম থেকেই ইতিহাসের পরিচয় পাওয়া যায়। আজও এই শহর মর্যাদা পেয়ে আসছে জেলা সদর শহর হিসেবে। কারণ এই শহরে রয়েছে জেলার প্রশাসনিক ভবন থেকে আদালত ও জেলার সমস্ত প্রধান কার্যালয়।