পরিবারের সদস্য নুলেন্দু রায় বলেন, এই পুজোর সূচনা ঠিক কবে হয়েছিল আমাদের জানা নেই। প্রায় ৩০০-৩৫০ বছরের প্রাচীন এই পুজো বংশ পরস্পর হয়ে আসছে। পুজোকে ঘিরে বিরাট মেলা বসে। বাঁকে বিহারী হিসেবেই এই পুজো হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। কার্তিক ঠাকুরের সঙ্গে আরও ২৪ জন দেবদেবী থাকেন। প্রাচীন এই কার্তিক পুজোর মূল আকর্ষণ মেলা। এখনও মালদহ শহরের ফুলবাড়ী রাস্তার দুই ধারে মেলা বসে। বর্তমানে সরকারি ভাবে সপ্তাহব্যাপী চলে মেলা।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার হস্তশিল্পীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেবে রাজ্য সরকার! কোথায় আবেদন করবেন জানুন
পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম জানান, এই পুজোর সূচনা করেছিলেন কালু সাহা। ইংরেজ আমলে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। কালু সাহা উত্তরপ্রদেশের থেকে মালদহে এসেছিলেন। এখানে এসে জমিদারি শুরু করেন। পরবর্তী প্রজন্ম এই পুজো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে সাহা পদবী বদলে রায় উপাধি পায়। পরবর্তীতে মনমোহন সাহা এই পুজোর মন্দিরের স্থাপন করেন। তখন থেকে ঠাকুর দালানে পুজো হয়ে আসছে। আজও নিষ্ঠার সঙ্গে বাঁকে বিহারীর পুজো হয়ে আসছে ফুলবাড়ি রায় পরিবারের। রাতভোর চলে পুজো অর্চনা। পুজো দেখতে ভিড় করেন ভক্তরা। শুধু তাই নয়, বহু দূরান্ত থেকে এখানে ভক্তদের সমাগম ঘটে মেলা দেখার জন্য। এখনও এই মেলার সুনাম রয়েছে জেলা ও জেলার বাইরে। প্রতিমা বিসর্জন করা হয় স্থানীয় মহানন্দা নদীর ঘাটে। বিসর্জনের সময় বাজি পোড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে।
হরষিত সিংহ