এমনই এক মালদহের জেলা খাদি দফতরের মসলিন তীর্থ নামক সোসাইটির অধীনস্থ কারখানায় প্রায় কুড়ি জন শ্রমিক কাজ করেন। গুটি কাপাস থেকে সুতো তৈরির পর সেই সুতো দিয়ে তৈরি করা হয় খাদি বস্ত্র। বিভিন্ন রকম কাঠের যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা হয় খাদি বস্ত্র।
আরও পড়ুন : বড়সড় সিদ্ধান্ত, কনজিউমার অ্যাফেয়ার্সে পাঠানো হল পটাশপুরের বিডিওকে! নিখোঁজ বিতর্কেই কী রদবদল?
advertisement
এক তাঁত শিল্পী হারাধন দাস জানান, “আগে বাড়িতেই তাঁত বস্ত্র তৈরি করতাম। বর্তমানে আধুনিক একাধিক মেশিনের দাপটে চাহিদা কমেছে তাঁতের কাজের। তাই বাড়িতে সেই পরিমাণে তাঁত চলেনা। তবে এই সোসাইটির কারখানায় কাজ পেয়ে খুব ভাল লাগছে। প্রায় আট বছর থেকে এই সোসাইটির কারখানায় তাঁত বোনি। মাসে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা রোজগার হয়ে যায়।”
আরও পড়ুন : শাড়ি থেকে স্টোল, সব এক ছাদের নিচে! পুজোর আগে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়! কোথায় যেতে হবে?
জেলা খাদি দফতরের আধিকারিক তাপস কুমার মন্ডল জানান, “জেলায় মোট ১৪৭ টি সোসাইটি রয়েছে। যেখানে প্রায় দশ হাজার তাঁত শ্রমিক কাজ করেন। এই তাঁত শিল্প প্রাচীন শিল্প যা খেটে খাওয়া শ্রমিকদের স্বার্থে রাষ্ট্র পিতা গান্ধীজি সূচনা করেছিলেন। আজও বহু জায়গায় প্রাচীন পদ্ধতিতে তাঁত শিল্প পরিচালনা হচ্ছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমান আধুনিক যুগে দেখা যায় একাধিক রকম কাপড় তৈরির মেশিন। সেই মেশিনে একাধিক রকম বস্ত্র তৈরি করা গেলেও খাঁটি খাদি কাপড় তৈরি করা সম্ভব কেবলমাত্র হ্যান্ডলুম বা কাঠের তাঁত যন্ত্রে। সুতো থেকে কাপড় সমস্তরকম খাদি কাপড়ের লাট তৈরি হয় এই তাঁত শিল্পীদের কারখানায়। তবে আধুনিক যুগের কাপড় মেশিনের যন্ত্র কে টেক্কা দিয়ে গান্ধীজির চিন্তাধারার এই তাঁত শিল্প যে আজও গুরুত্বপূর্ণ তার প্রমাণ এই তাঁত কারখানা।