একই পরিবারের আটজন, আবার কোনও পরিবারের ছয় জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত। তারা সকলেই চিকিৎসাধীন আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে গেলে দেখা যায় মশারি টাঙিয়ে রোগীদের রাখা হয়েছে। ম্যালেরিয়ার এমন পরিস্থিতি যে সঠিক পরিসংখ্যান করে উঠতে পারছেন না এই ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক। খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতিটি বাড়িতে পাঠিয়ে প্রতিটি সদস্যের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
advertisement
এই ব্লকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন। তাদেরও চিকিৎসা চলছে গ্রামীণ হাসপাতালে। এমনটাই জানা গিয়েছে হাসপাতালে গিয়ে। তুরতুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলাবাড়ি গ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা গিয়েছে। এই এলাকায় এই রোগে আক্রান্ত বেশি কিশোর-কিশোরীরা। যাদের বয়স ১০ থেকে ১৩ এর মধ্যে। ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, যারা ভর্তি হচ্ছে ম্যালেরিয়া নিয়ে তাদের অধিকাংশের জ্বর নেই। ম্যালেরিয়ার কোনও উপসর্গও দেখা যাচ্ছে না। যা একরকমের চিন্তার বিষয়।এমনিতেই আলিপুরদুয়ার জেলা ডেঙ্গির আতুরঘর নামে পরিচিত। এবারে ম্যালেরিয়া চোখ রাঙাতে শুরু করেছে জেলায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে তার রক্ত পরীক্ষা করাতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকের স্বাস্থ্যকর্তা অর্পণ কুমার বিষয়ী জানিয়েছেন, “নজরদারি রাখা হচ্ছে এই এলাকায়। ব্লক স্বাস্থ্য এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং কর্মীরা ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন। মশারির ব্যবহার সকলকে করতে হবে। “





