কোভিড চলাকালীন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ তার মাথায় এই বুদ্ধি আসে। হাতের কাছে পড়ে থাকা ব্লেড আর শিরীষ কাগজ নিয়ে কিছু একটা বানাতে শুরু করেন। তারপর সেটাই এখন নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে বছর ৬০ এর মহেশের। বাড়ির গাছের তলায় টেবিল, চেয়ার পেতে এখন সময় পেলেই বসে পড়েন নারকেলের খোল নিয়ে। মহেশ বাবুর কথায়, এক একটা দেবদেবীর মূর্তি বানাতে তার প্রায় তিন দিন সময় লাগে। নারকেলের খোলগুলোকে পরিষ্কার করে, ছবি এঁকে তারপর হ্যাসকো ব্লেড দিয়ে কাটাকাটি করে দেবদেবীর মূর্তির আকার দেন তিনি। তারপর শিরীষ কাগজ দিয়ে ঘষে সেটিকে পালিশ করেন মূর্তি তৈরি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের এই সমস্ত রোগীদের জন্য চালু হল ই-পোর্টাল, জানুন এর সুযোগ-সুবিধা
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কি করে এই নারকেলের খোল সংগ্রহ করেন জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, রাস্তায় চলতে চলতে যেখানেই নারকেলের খোল পড়ে থাকে দেখেন সেটা কুড়িয়ে আনেন। এছাড়াও বাড়িতে নারকেল গাছ রয়েছে সেই নারকেলগুলো বিক্রি না করে সংগ্রহ করে সেগুলি দিয়েই এই মূর্তিগুলি তৈরি করেছেন তিনি। মহেশ বাবুর কথায়, আগামীতে এই কাজগুলি আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। এই কাজকে কুটির শিল্পের আকার দিতে চান তিনি। এখনও পর্যন্ত যে কটা দেবদেবীর মূর্তি বানিয়েছেন সেগুলি তিনি বিক্রি করেননি। তবে আগামীতে সেগুলি বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি কেউ তার কাছে এই কাজ শিখতে চান তাহলে তিনি তাদের শেখাতেও রাজি।
অনির্বাণ রায়





