রাত পোহালেই শিবরাত্রি আর সেই অর্থে প্রতিবছর শুধু স্থানীয়রা নয়, দূর দূরান্ত থেকে এই জংলি বাবার দর্শন করতে ছুটে আসেন ভক্তরা। জঙ্গলের মধ্যেই খানিকটা জায়গা পরিষ্কার করে নেওয়া হয়েছে। বুনো হাতির হামলা থেকে বাঁচতে চারদিকে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের তারের বেড়া। শিবরাত্রি তো বটেই, শ্রাবণ মাসেও লক্ষ লক্ষ ভক্তদের ভিড়ে জমে ওঠে এই মন্দির চত্বর। সেই অর্থে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও ভক্তদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুরো মন্দির চত্বরকে বিদ্যুতের তারের বেড়ায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে জঙ্গলের রাস্তা পেরিয়ে মন্দিরে আসার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মন্দিরটি সেনা জওয়ানদের অধীনে থাকায় পুজোর দিনে মন্দির চত্বরজুড়ে বনদফতর স্থানীয় প্রশাসন পুলিশের পাশাপাশি ভক্তদের নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা থাকবে সেনা জাওয়ানদেরও।
advertisement
আরও পড়ুন: ভক্তিভরে পুকুরে স্নান! পাশেই জাগ্রত শিবমন্দির! পুজো দিলেই ইচ্ছে পূরণ! জানুন
এই প্রসঙ্গে বাগডোগরা ফরেস্ট ডিভিশনের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া জানান হাঁটা পথে নয় জাতীয় সড়ক থেকে মন্দিরে আসার জন্য ২ কিলোমিটার জঙ্গলের রাস্তায় ভক্তদের জন্য থাকবে ফ্রি টোটো এবং অটোর ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি পুজো শেষে কেউ যেন জঙ্গলের ভেতরে রাস্তায় প্রবেশ না করে সেদিকে থাকবে কড়া নজরদারি। মন্দিরটি জঙ্গলের মাঝে হওয়ায় এখানে বন্ধু জন্তুদের আনাগোনা রয়েছে সেই অর্থেই এই মন্দির চত্বরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে হাতি এবং জীব জন্তু থেকে ভক্তদের নিরাপত্তায় থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। জঙ্গল জুড়ে মোতায়ন থাকবে কুইক রেসপন্স টিম।
বাংলা মাসের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উপবাস পালন করা হয়। চারিদিকে ঘন জঙ্গলের মাঝে দেখা মেলে সাক্ষাৎ মহাকাল।হাতিদের হামলার ভয় থাকা সত্বেও গত কয়েক বছর ধরে আচমকাই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মন্দিরটি। বাগডোগরা থেকে এশিয়ান হাইওয়ে ধরে নকশালবাড়ি যাওয়ার পথে পড়ে সন্ন্যাসী চা বাগান এর ঠিক ডান দিকে বেঙডুবি জঙ্গলের দিকে চলে গিয়েছে একটি সরু পাকা রাস্তা। প্রায় দুই কিলোমিটার জঙ্গলের পথ ধরে যাওয়ার পরে ডান দিকে আরও প্রায় পাঁচশো মিটার গেলে দর্শন মিলবে মন্দিরটির।
সুজয় ঘোষ