পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগের মুহূর্তে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রেহেনা সটান পৌঁছে যায় মিনাখা থানায়, চোখে জল নিয়ে মালিয়ারি দোথিকানার বাসিন্দা তথা ধুতুরদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রেহানা খাতুন পুলিশ অধিকারিকদের জানায়, তাঁর বাবা তাকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বাধা দিচ্ছেন। আটকে রেখেছেন অ্যাডমিট কার্ড।
আরও পড়ুন: ‘বয়স’ অনুসারে কত হওয়া উচিত আপনার ‘ওজন’…? দেখুন বিশেষজ্ঞদের দেওয়া ‘পারফেক্ট’ ওয়েট চার্ট
advertisement
এদিকে পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। এই খবর জানতে পেরেই নড়ে চড়ে বসেন মিনাখা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পল্লব মণ্ডল। সমস্যা জানাতেই চিত্রটা বদলে গেল। বাবাকে থানায় ডেকে বুঝিয়ে, মেয়েকে পরীক্ষা হলে পৌঁছলেন পুলিশ আধিকারিক।
আরও পড়ুন: ‘জিরো’ ওয়াট বাল্বে কত ‘বিদ্যুৎ’ খরচ হয় জানেন…? চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি!
মিনাখাঁর এসডিপিও কৌশিক বসাক জানান, পরীক্ষার্থীর থেকে সব শুনে থানাতেই পরীক্ষার্থীর বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে বুঝিয়ে তাঁর থেকে কাগজপত্র নেন থানার অফিসাররা। এর পর মিনাখাঁ থানার সাব ইন্সপেক্টর রাহুল মণ্ডল গড় চণ্ডীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রীটিকে পৌঁছে দেন। কিন্তু ততক্ষণে পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবে সাব ইন্সপেক্টর নিজে বিষয়টি বুঝিয়ে বলে ছাত্রীর পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশের সাহায্যেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেওয়ার বাধা টপকাতে পেরে খুশি রেহানা।
পাশাপাশি আরও এক পরীক্ষার্থী মিনাখা গার্লস হাই স্কুলে তার পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলেও সে ভুল করে গড় চন্ডিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় চলে যায়। সেক্ষেত্রেও মিনাখা থানার পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাকে পুলিশ গাড়ি করে তার সঠিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। সব মিলিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন পুলিশ আধিকারিকরা।
জুলফিকার মোল্লা