সারা বছর এই মন্দির আকর্ষণ করে বহু পর্যটকদের। তবে নতুন বছরের শুরুতেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই মন্দির চত্বরে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ছে। নতুন বছরে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, “নতুন বছরের শুরুতেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন এই মদন বাড়িতে। এখানে আসলেই যে কেউ নিজের মনের মধ্যে একটা আলাদা শান্তি খুঁজে পাবেন এটা নিশ্চিত।”
advertisement
মন্দিরে ঘুরতে আসা পর্যটক সীমা সামন্ত জানান, “মূল মন্দিরের গেটের থেকে সোজা কক্ষে রয়েছেন মদনমোহন দেব। পূর্ব দিকের কক্ষে রয়েছেন মা কাত্যায়নী, মা জয়তারা এবং মা অন্নপূর্ণা। এছাড়া কাঠামিয়া মন্দিরের মধ্যে মদনমোহন বাড়ির সমস্ত মাটি দিয়ে তৈরি মূর্তির পুজো করা হয়। মদনমোহনের বাড়ি চত্বরের পূর্ব সীমানায় মা ভবানীর একটি পৃথক মন্দির রয়েছে।”
আরও পড়ুন: শীতের সকালে লেবু-গরম জল খাচ্ছেন? শরীরের ভাল করছেন না খারাপ? জানুন বিশেষজ্ঞের মত
মন্দিরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী বঙ্কিম দে জানান, “কোচবিহারের কোচ রাজবংশের কুলদেবতা মদনমোহন। এখানের মদন বাড়িতে মদনমোহনকে একটু অন্যরকম ভাবেই লক্ষ করা যায়। এখানে মদনমোহনের পাশে কোনও রাধা নেই।”
এই মন্দির সবসময় কোচবিহারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দীর্ঘ সময় ধরে দূর দূরান্তের বহু পর্যটক এই মদন বাড়িতে ঘুরতে আসেন। তবে বছরের বিশেষ দিন গুলিতে মন্দিরে ভিড়ের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পর্যটকদের আনাগোনা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে এই নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই কোচবিহারের মদন বাড়িতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে এমনটাই জানাচ্ছেন মন্দির কতৃপক্ষ।
Sarthak Pandit