কেরি সাহেবের নীলকুঠি পুরোটাই ভেঙে পড়েছে, আগাছায় ভরে রয়েছে চারিদিক। তারি মাঝে উঁকি মারছে দালানের ইট। প্রশাসনিক উদ্যোগের অভাবে পুরোপুরি হারিয়ে যেতে বসেছে নীলকুঠিটি। তবে সেখানকার গ্রামবাসীরা আজও সাধ্যমত আগলে রেখেছেন ব্রিটিশ শাসনের এই ইতিহাসকে। তবে রক্ষা করতে অনেকটাই ব্যর্থ, কারণ এতদিনেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনরকম সংরক্ষণের ব্যবস্থাটুকু করা হয়নি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মদনাবতী গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করছেন, এই নীলকুঠি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।
advertisement
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের ফুটবল প্রতিভা ডুয়ার্সে! যার খোঁজে ছুটে এলেন খোদ…
প্রায় নিয়মিত বহু মানুষ এখানে আসেন নীলকুঠির টানে। কিন্তু প্রশাসনের উদ্যোগে কোনরকম জায়গাটির সংরক্ষণ বা সংস্কার না করায় হতাশ হয়ে ফিরে যান পর্যটকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, প্রাচীন এই নীলকুঠিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে। গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ সরকার বলেন, অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। তবে সংস্কার সংরক্ষণ হচ্ছে না, তাই জঙ্গলে ভরে রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে যে প্রার্থী জিতে সাংসদ হোক না কেন আমরা চাই এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: যমে-মানুষে কয়েক মিনিটের টানাটানি! রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে…
মালদহ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মদনাবতি গ্রামে রয়েছে কেরি সাহেবের নীলকুঠি। জেলার ইতিহাসবিদদের মতে, শ্রীরামপুরে যাওয়ার আগে প্রথম মদনাবতি নীলকুঠির দায়িত্বে ছিলেন উইলিয়াম কেরি। তিনি একজন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারক ছিলেন। কথিত আছে উইলিয়াম কেরি এখানেই প্রথম ছাপাখানা তৈরির প্রচেষ্টা করেন। নানান ইতিহাসের সাক্ষী এই নীলকুঠি।
হরষিত সিংহ





