আরও পড়ুন: প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি হচ্ছে শস, লাভের আশায় মিষ্টি কুমড়ো চাষ কৃষকদের
মালদহের অন্তর্গত এই গ্রামের বাসিন্দা বিজয় ঘোষ বলেন, রাস্তা না থাকায় রোগীদের নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই গ্রামে কোনওরকম উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও এখনও পৌঁছায়নি। তবে ভোটের সময় এলেই রাজনৈতিক দলগুলি নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।
advertisement
ভোট এলেইপ্রার্থীরা এলাকায় প্রতিশ্রুতির বানী নিয়ে হাজির হয়ে যান। তারপর অবশ্য তা আর কার্যকরী হয় না। ফলে গদাইচরের বাসিন্দারা সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। মালদহের মানিকচক ব্লকের হীরানন্দপুর পঞ্চায়েতে গদাইচর। বাংলা ভুখন্ডের একটি অংশ এই গদাইচর। যেখানে বসবাস করেন কয়েক হাজার পরিবার। আজও সেই গ্রামে জ্বলে না কোনও আলো। রাত হলেই ভরসা লন্ঠন বা প্রদীপের আলো। একটু অর্থকরী পরিবারের ঘরে জ্বলে ব্যাটারির আলো। গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার মাহাতো বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি এখনও। স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে আমাদের গ্রামে সমস্যার সমাধানে কেউ এগিয়ে আসে না তবে ভোটের সময় ভোট নিতে সকলেই আসেন। আমরা চাই গ্রামের উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের জঙ্গল দর্শনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত, পরিদর্শন শেষে সন্তোষ না অসন্তোষ জানালেন?
তবে ভোটে অংশগ্রহন করেন তারা। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা সব ক্ষেত্রেই ভোটদান করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু সরকারি সাহার্য্যের নূন্যতম পরিসেবা নেই এই গ্রামে।এই এলাকায় ভোটের সময় অস্থায়ী তাবুতে ভোটগ্রহণকেন্দ্র তৈরী করা হয়। দুইটি বুথ রয়েছে।প্রায় ১৪০০ভোটার। তবুও ভারত ভূখন্ডে পরধীনতার মতন বসবাস তাদের। উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেছে ভুতনি চরে। এখনও বঞ্চিত গদাইচর। আবারও লোকসভা নির্বাচন প্রতিশ্রুতির ঝুড়ি নিয়ে গ্রামে আসছেন ভোট প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া কি পৌঁছাবে এই গদাইচরে সেই প্রশ্নই এখন স্থানীয়দের মনে।
হরষিত সিংহ