বিক্রেতা পরোটা ভাজার পর, দুই হাতে মেরে মেরে পরোটা ভেঙে দিচ্ছেন। এতেই এই পরোটার স্বাদ একেবারে ভিন্ন। তাই এই পরোটার নাম পেটাই পরোটা। ক্রেতা অজয় গাঙ্গুলী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই এই পরোটা খাবার ইচ্ছে ছিল। এই পরোটার স্বাদ একেবারেই আলাদা। সামান্য তেল দিয়ে ভাজা হচ্ছে, শরীরের পক্ষেও খারাপ।”
আরও পড়ুন: লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে ফুটপাতে ব্যবসা! বীরভূমের যুবকের কাহিনি শুনে অবাক হবেন আপনিও
advertisement
মালদহ শহরের অতুলচন্দ্র মার্কেটে একমাত্র এই পেটাই পরোটার দোকান রয়েছে। দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছর ধরে পেটায় পরোটা বিক্রি করছেন শ্যামল চন্দ্র সাউ। তাঁর দোকানের পেটাই পরোটা এখন মালদহে বিখ্যাত। শহর ও শহরের আশেপাশের বহু মানুষ সকালবেলা এই পরোটা খাওয়ার জন্য দোকানে ভিড় করেন।এক প্লেট পেটাই পরোটার দাম কুড়ি টাকা। দুইটি পরোটা থাকে এক প্লেটে। সঙ্গে দেওয়া হয় একটি সবজি, আলু সেদ্ধ, বিশেষ এক ধরনের চাটনি। এই চাটনি খেতে ভিন্ন স্বাদের। সামান্য তেল দিয়ে তৈরি করাই এই পরোটা সবজির সঙ্গে খেতে অসাধারণ।
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় এই দুই খাবারে মিশছে ‘বিষ’, বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিল কর্ণাটক সরকার
বিক্রেতা শ্যামল কুমার সাউ বলেন, “প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই দোকান করছি। পেটাই পরোটাই বিক্রি করি। বিক্রি ভাল হচ্ছে এখন। খুব সামান্য তেল দিয়ে ভাজা হয় কেউ যদি বলেন তাহলে তেল না দিয়েও ভেজে দিন। কুড়ি টাকা প্লেট হিসেবে বিক্রি করছি।”
সাধারণত আটা দিয়ে তৈরি করা হয় এই পরোটা। আটা মাখার সময় জোয়ান মেশানো হয়। এছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয় না এই পরোটার আটায়। ভাজার সময় পরোটার আকার তৈরি করা হয়। খুব সামান্য তেল দিয়ে ভাজা হয় এই পরোটা। সামান্য তেল দেওয়াই পরোটা ভাজতে কিছুটা সময় লাগে। ভাজা পরোটা তারপর বিশেষ পদ্ধতিতে ভেঙে পরিবেশন করা হয়। ক্রমশ মালদহ শহরের এই পেটাই পরোটা দোকানের সুনাম ছড়াচ্ছে চারিদিকে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট কেজি আটার পরোটা বিক্রি করছেন তিনি।
হরষিত সিংহ