বাড়ি ফিরে আসা জাহিদ শেখ জানান, “পঞ্জাবে কাজের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। প্রায় এক বছর অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে পাঞ্জাবেরই এক ব্যক্তির আশ্রয়ে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে কয়েক বছর পরে চলে যান দিল্লির গাজিয়াবাদে। সেখানে নতুন করে গড়ে ওঠে তাঁর জীবন সেখানেই বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর সাত সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজনের বিয়ে হয়েছে।”
advertisement
পরিবারের এক সদস্য সুলতান শেখ জানান, “দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাঁকে খোঁজাখুঁচি করে ছিলেন তাঁরা। তবে তাঁর কোন খোঁজ না পেয়ে অবশেষে ইসলামিক ধর্ম অনুযায়ী শেষকৃত্য করতে হয়েছিল জাহিদের। এখন ভাইকে এভাবে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।”
এদিন রাতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আচমকাই কালিয়াচকের যদুপুরে নিজের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন জাহিদ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকাল থেকে তাঁকে এক ঝলক দেখতে গ্রামবাসীর ভিড় জমে বাড়িতে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হারিয়ে যাওয়া মানুষটিকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে আনন্দ ও আবেগে ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। Input- JM Momin





