পাট ও সুতোর কারুকার্য করা সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই ধোকরা। এই ধোকরা শিল্পের উপর নির্ভর করে সংসার চলে বহু পরিবারের। এই ধোকরা মূলত হাতে বোনা পাটের চাটাই। তবে পাটের জিনিস যেমন খসখসে হয় এই ধোকরা তেমন নয়। এই ধোকরা দিয়ে শিল্পীরা ব্যাগ বা ছোট ছোট জিনিসও বানান। উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু রাজবংশী সম্প্রদায় এর মহিলারা তাদের অবসর সময় পাট দিয়ে এই ধোকরা বানিয়ে থাকেন। তারপর সেই ধোকরায় বিভিন্ন ধরনের রঙিন সুতোর কারুকার্য করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘন্ট বা পালং পনির অনেক খেলেন এবার কুড়মুড়ে পালং পকোড়া খান! শীতের সন্ধে জমে যাবে
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একটি ধোকরা বা ম্যাট তৈরি করতে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা খরচ হয়। বাজারে বিক্রি হয় ৫০০ টাকার বেশি দামে। জমি থেকে পাট কেটে আঁশ ছাড়িয়ে সুতো বের করে ধোকরা জন্য দড়ি প্রস্তুত করা হয়, তারপর তৈরি হয় ঘর সাজানোর ধোকরা। এই ধোকরা দিয়ে সোফার কভার, বেড কভার এমনকি মেঝেতে বিছিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত সোমবারের ধনকোল হাটে গ্রামের মহিলারা গিয়ে ধোকরা বিক্রি করে থাকেন। কালিয়াগঞ্জ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ধোকরা গ্রাম। রং বেরঙের ধোকরা কিনতে হলে আপনিও চলে আসুন এই ধোকরা গ্রামে।
পিয়া গুপ্তা