বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৫ অগাস্ট, দিনাজপুর জেলায়। বাবা মহম্মদ ইসকান্দর মজুমদার ও মা তৈবা মজুমদারের কন্যা খালেদার শৈশবের গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে জলপাইগুড়িতেই। দিনাজপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সদর গার্লস স্কুল ও পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা। ছোটবেলায় আদরের নাম ‘পুতুল’। চা ব্যবসার সূত্রে খালেদা জিয়ার পরিবার জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি এলাকায় বসবাস করতেন। বাবা ‘দাশ অ্যান্ড কোম্পানি’তে চাকরি করতেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জলপাইগুড়ি! জঙ্গল ঘেরা শহরে কী এমন ছিল! সামনে এল অজানা বড় ঘটনা
আরও পড়ুনঃ ৬ দিনের পৌষমেলায় শান্তিনিকেতনে রেকর্ড বিক্রি! ৪৪ দোকানে মদ বিকিকিনি আড়াই কোটির! চমকে দেওয়া তথ্য
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জমি বিনিময়ের মাধ্যমে পরিবারটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে যায়। এরপর আর জলপাইগুড়িতে ফেরা হয়নি তাঁদের। নয়াবস্তির সেই বাড়িতে পরে বসবাস শুরু করে চক্রবর্তী পরিবার। মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়ার প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে নয়াবস্তি এলাকা। এলাকার বাসিন্দা উৎপল গোপ বলেন, “ওঁরা আমাদের পাড়ারই মানুষ ছিল। আজও বিশ্বাস হয় না।” পাশের বাড়ির বাসিন্দা চামেলী বিশ্বাসের কথায়, “রাজনীতি নয়, মানুষের টানটাই বড়। আজ মনটা খুব খারাপ।”
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনকাল ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের প্রাক্কালে খালেদা জিয়ার বিদায় শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, জলপাইগুড়ির নয়াবস্তির মানুষদের কাছেও এক দুঃখজনক ঘটনা। ইতিহাসের পাতায় তিনি যেমন একজন শক্তিশালী রাষ্ট্রনেত্রী, তেমনই এই শহরের কাছে তিনি আজও রয়ে গিয়েছে স্মৃতির পাতায়।





