স্থানীয়দের আজও বিশ্বাস ষড়ানন রূপী এই কার্তিক ঠাকুরের কাছে পুত্র সন্তানের মনস্কামনা করলে পূরণ হয় সেই ইচ্ছে। তাই তো এখনও স্থানীয়রা ছাড়াও জেলা ও জেলার বাইরে থেকে দূর-দূরান্তের বহু ভক্ত এখানে পুজো দিতে আসেন পুত্র সন্তান লাভের আশায়। পুত্রসন্তানের বয়সের কার্তিক প্রতিমা দান করার রেওয়াজ রয়েছে এখানে। তাই বড় কার্তিক প্রতিমার সঙ্গে শিশু থেকে কিশোর বয়সের ছোট ছোট কার্তিক ঠাকুরও মণ্ডপে পুজো হয়। সন্ধ্যা রাত থেকে শুরু হয় কার্তিকের আরাধনা।
advertisement
দিনের চার প্রহরে চার বার পুজো হয় এখানে। চারবারই আলাদা আলাদা ভোগ দেওয়ার হয় ঠাকুরকে। পুজো কমিটির সদস্য পাণ্ডব সিংহ বলেন, ‘‘স্থানীয় বেশ কিছু ব্যক্তি পুত্রসন্তান লাভের আশায় এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। সেই রীতি মেনে আজও পুজো হয়ে আসছে। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এখানে পুত্রসন্তান লাভের আশায় মনস্কামনা করলে তা পূরণ হয়। সেই বিশ্বাসে মানুষ পুজো দিয়ে আসছেন অনেকের মনস্কামনা পূরণ হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’! আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা…রাত পেরলেই শুরু তাণ্ডব
হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের কার্তিক পুজো এই বছর ৬৫ তম বর্ষ। এই গ্রামের তৎকালীন কয়েকজন যুবক মিলে পুজোর সূচনা করেছিলেন। পুজোর সূচনা করেছিলেন পুত্রসন্তান লাভের আশায়। তখন থেকেই শুরু হয় এই পুজো। এখানে দেব সেনাপতির ছয় মাথা বারো হাতের মূর্তি তৈরি করা হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক বাপ্পা মণ্ডল বলেন, ‘‘রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে এখনও। এই বছর আমাদের এই কার্তিক পুজো ৬৫ তম বর্ষ। ঐতিহ্য মেনে আজও পূজা উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী আলকাপ গানের আসর বসে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূর দূরান্তের বহু ভক্ত এখানে আসেন।’’
আরও পড়ুন: সুগার ৩৫০, কিডনির রোগ থার্ড স্টেজ! জেলে একী অবস্থা জ্যোতিপ্রিয়র.. আবারও কি হাসপাতালে?
প্রতিবছর এই পুজোয় বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। পুজো ছাড়াও ১০ দিনব্যাপী চলে বিশাল মেলার আসর। সঙ্গে রীতি মেনে আলকাপ গানের আসর থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বস্ত্র দানের আয়োজন করে থাকেন উদ্যোগতারা। পুজোর দিন থেকে সাত দিনব্যাপী বহু ভক্ত দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে এই পুজোয়।
হরষিত সিংহ