পুজোর পরিচালক নিলয় দেব জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে কোচবিহার মহা শ্মশানে এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে আগে এই পুজোর পরিচালনা একটি কমিটির মাধ্যমে করা হলেও বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করা হচ্ছে কোচবিহার পুরসভার মাধ্যমে। বহু মানুষ এই দু’দিনের পুজোয় অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়া এই পুজোয় মেলাও বসে।” এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ সিনহা জানান, “তাঁরা ছোট বেলা থেকে এই পুজোর বিষয়টি শ্মশানে দেখে আসছেন। তবে আগের থেকে এই পুজোর জৌলুস অনেকটাই বেড়েছে বর্তমানে। আগে টাকা পয়সার সঠিক যোগান না থাকায় পুজো হত কোনরকমে। তবে এখন আর সেটা হয় না।”
advertisement
আরও পড়ুন: মুখে অতিরিক্ত লোম! এই চার ঘরোয়া উপায়ে কয়েক মিনিটে গায়েব হবে লোম! খরচ নাম-মাত্র!
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা সুধা সূত্রধর জানান, “এই পুজোয় শুরুর এক থেকে দুই বছরের পর থেকেই এখানে কুমারী পুজো করা হয়। এছাড়া ৫১ সতী পীঠের সমস্ত দেবীর রূপের ও পুজোর ব্যবস্হা করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম নীতির কোন পরিবর্তন করা হয়নি এখানে। বহু মানুষ এই বিরাট পুজোর আয়োজন দেখতে এখানে এসে থাকেন। এছাড়া এখানে এই পুজো উপলক্ষ্যে যে দু’দিন ব্যাপী মেলা বসে সেখানেও প্রচুর মানুষের ভিড় জমে।” কোচবিহার শ্মশানের এই কালী পুজো কোচবিহারের অন্যতম বড় কালী পুজো। কোচবিহারের এই পুজোয় বহু মানুষের সমাগম ঘটে। তবে কোচবিহারের পুরসভা এই পুজোর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই এই পুজোর জৌলুস আরোও বেড়ে উঠেছে।
Sarthak Pandit