মালদহে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে, এই সময় ব্যাপক বিক্রি কাশ্মীরের কাওয়া-র। কাশ্মীরের কাওয়া বিক্রেতা মালদহে এসে কাওয়া বিক্রি করছেন। কাশ্মীরের বিশেষ ধাতব কেটলিতে তৈরি করা হয় এই চা। উনুন বা গ্যাসের আঁচে নয়, বিশেষ ওই কেটলির ভিতরেই রয়েছে আগুনের আঁচ দেওয়ার ব্যবস্থা। কেটলির ভিতরে কাঠ কয়লা দিয়ে আঁচ দেওয়া হয়। সেই আঁচেই গরম থাকে এই পানীয়। কেটলির থেকেই সরাসরি পরিবেশন করা হয়।
advertisement
কাওয়া কাশ্মীরের একটি জনপ্রিয় পানীয়। এর তৈরির পদ্ধতিও সম্পূর্ণ অলাদা। চায়ের মতো খেতে ও দেখতে হলেও তৈরি হয় একেবারে অন্য সামগ্রী দিয়ে। মূলত কাওয়া পাতা দিয়ে তৈরি হয়। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে, কেশর, কাঠবাদাম, এলাচ, কাজু, গোলাপ ফুলের পাপড়ি ও চিনি -সহ নানা উপাদান। সব উপকরণ জলে দিয়ে আগুনে দীর্ঘক্ষণ ফোটাতে হয়। ভালো ভাবে ফোটানোর পর জলের রং চায়ের মতো হয়। তারপর সেই পানীয় বিশেষ কেটলিতে ভরা হয়। কেটলির ভিতরেই রয়েছে আগুনের আঁচ দেওয়ার ব্যবস্থা। কেটলিতে রেখে আঁচ দিতে দিতে পরিবেশন করা হয়। গরম থাকে এই পানীয়, তাই ঠান্ডায় খেতে আরাম লাগে।
কাওয়া বিক্রেতা গৌভর বলেন, ” আমরা কাশ্মীর থেকে এসেছি। এই পানীয় কাশ্মীরে পাওয়া যায়। চা ছাড়াই তৈরি করা হয় এই কাওয়া। বিভিন্ন উপাদান দিয়ে জলে ফুটিয়ে তৈরি করতে হয় এই গরম পানীয়। মালদহে এক কাপ কাওয়ার দাম ২০ টাকা। প্রতিবছর শীতের সময় কিছুদিন এখানে এই কাওয়া চা বিক্রি করতে আসেন কাশ্মীরের ব্যবসায়ীরা।”
হরষিত সিংহ