স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন ডিবিআইটিএ (ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টি অ্যাসোসিয়েশন)-এর সঙ্গে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ১০ দিনের শাল ছুটিতে পাঠায়। শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়। সেই ছুটির সময়সীমা সোমবার শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে ফের কাজ শুরুর কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, পুরো বাগানই কার্যত ফাঁকা।
advertisement
কোথাও নেই কোনও আধিকারিক, নেই কোনও ঘোষণা—শুধু তালা আর হতবাক শ্রমিকেরা। শঙ্কর ওরাঁও জানান, প্রথমে স্প্রে ওয়ার্কাররা ওষুধপত্র নিতে স্টোররুমে যান, কিন্তু তালা ঝুলতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে ম্যানেজারের বাংলোতেও তালা ঝোলানো দেখতে পেয়ে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা বাগানের শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি গেটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।
চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন প্রায় ১২০০ শ্রমিকের পরিবার। সংসার চালানো নিয়ে চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে শ্রমিকদের। রেশন, চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশোনা—সবই এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে প্রশাসন ও শ্রম দফতর হস্তক্ষেপ করুক এবং মালিকপক্ষকে আলোচনার টেবিলে এনে বাগান পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হোক। কারণ, একটা বাগান বন্ধ মানেই শুধু উৎপাদন থেমে যাওয়া নয়, থেমে যায় অসংখ্য পরিবারের জীবনের চাকাও।
সুরজিৎ দে