Fish: পুষ্টির 'খনি'...! সপ্তাহে মাত্র ২ দিন খান 'এই' মাছ, টাকে গজাবে চুল, হাড় হবে লোহার মতো শক্ত, কোলেস্টেরল-রক্তচাপও বাপ বাপ বলে কমবে!

মুরগি, খাসির মাংস, ডিম বা সবজি যাই হোক না কেন, খাদ্যপ্রেমীরা যদি মাছ পান তবে তারা অন্য কিছু চায় না। তবে বেশিরভাগ মানুষ রুই, কাতলা জাতীয় মাছ পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে রুই-কাতলার মতো মাছ এই মাছের সামনে কোথাও নেই। এটি পুষ্টির ভাণ্ডার। সপ্তাহে দু'দিনও যদি আপনি এই মাছ খান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই চুল পড়া বন্ধ হতে পারে। হাড় হবে মজবুত এবং শরীর পুষ্টিতে ভরপুর হতে পারে। বলুন তো কী এই মাছ৷

এই মাছের নাম টুনা। এটি এতটাই শক্তিশালী যে আপনি এটি বুঝতে পারবেন যে ৮৫ গ্রাম টুনা মাছে ২১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে কোনও কার্বোহাইড্রেট থাকে না এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে ১ গ্রাম। এছাড়াও, এতে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, নিয়াসিন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি৬, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো জীবনদায়ী উপাদান রয়েছে যা আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।

নয়াদিল্লির ডায়েটিশিয়ান পুনম দুনেজা বলেন যে টুনা মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয়। এর পাশাপাশি, এতে নিয়াসিন, সেলেনিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে যা চুলকে পুষ্টি জোগায়। তাই, সপ্তাহে দু'দিনও যদি এটি খাওয়া হয়, তাহলে চুল পড়া বন্ধ হতে পারে।

টুনা মাছে অনেক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদপিণ্ডের জন্য খুবই উপকারী। টুনা মাছ খাওয়া কোলেস্টেরল কমাতে খুবই উপকারী। এই মাছ খাওয়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।

এই ছোট কিন্তু চকচকে রূপালি রঙের মাছটির পিঠ নীল-সবুজ এবং মুখটি ত্রিভুজাকার আকৃতির। এর কেবল কাঁটাযুক্ত লেজ আছে কিন্তু পাখনা নেই। সাঁতার কাটার সময় এটি লেজ দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এটি দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ২১ সেমি পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং ওজন ১.৫ কেজির বেশি হয় না। এটি একটি খুব সুস্বাদু মাছ।

এই টুনা মাছগুলি ভারত মহাসাগর এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যায়। এই মাছগুলি খাবারের সন্ধানে দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়। তাদের খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ছোট জীব, মাছের ডিম এবং সামুদ্রিক উদ্ভিদে জন্মানো শৈবাল।

টুনা মাছ অনেক পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। গর্ভবতী মহিলারাও এর স্বাদ পছন্দ করেন। টুনা মাছের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অর্থাৎ এর দামও খুব কম। যারা এর স্বাদ একবার বোঝেন তারা বারবার এটি খাবেন।

যাদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল এবং যারা মানসিক চাপে ভুগছেন তারা সপ্তাহে দু'বার এই মাছটি খেতে পারেন। এই মাছ মানসিক চাপ কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনি এটি ম্যাঙ্গালোর স্টাইলের স্যুপ হিসেবেও খেতে পারেন।