এই উদ্যোগের ফলে জেলায় টোটোর সংখ্যা ও তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এবং নিরাপত্তাও জোরদার হবে। জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাবাহাল জানান, “জলপাইগুড়ি জেলায় কতজন টোটো চালক রয়েছেন এবং তারা কোথায় কোথায় যানবাহন চালান, সেই সমস্ত তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। এর ফলে শহরের যানবাহন ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা সহজ হবে।”
advertisement
কীভাবে করবেন রেজিস্ট্রেশন? টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য চালকদের জলপাইগুড়ি জেলা ট্রাফিক বিভাগের অফিসে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। ফর্ম পূরণের জন্য প্রয়োজন হবে- চালকের নাম,জন্ম তারিখ,ঠিকানা, আধার কার্ড নম্বর,ভোটার কার্ড নম্বর, বাসস্থান সংক্রান্ত তথ্য, ভাষাগত পরিচয়,মোবাইল নম্বর।পুলিশ ফর্ম জমা দেওয়ার পর চালকের একটি ছবি তোলা হবে, যা সরকারি ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকবে।
পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক টোটো চালক। তাদের মতে, এর ফলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হবে এবং পুলিশি হয়রানির আশঙ্কা কমবে। তবে, কিছু চালক এই প্রক্রিয়াকে সময়সাপেক্ষ বলছেন এবং রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি তুলেছেন। জেলা পুলিশের মতে, এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নয়, চালকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে। ফলে জলপাইগুড়িতে পরিবহন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
—- সুরজিৎ দে





