এখানকার গভীর জঙ্গল, বন্যপ্রাণী আর পাহাড়ি নদী মূর্তির কলকল ধ্বনি—সব মিলিয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য এটি। বাম আমলের শেষদিকে তৈরি হওয়া কটেজগুলো সংস্কার করে এবার পুরো ক্যাম্পটিকে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বন দফতর। স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্যাম্প কর্মী সঞ্জিত রাই জানান, “নতুন করে ক্যাম্পটি চালু হলে আমাদের পানঝোরা বনবস্তি ও আশপাশের চারটি বনবস্তির মানুষের আর্থিকভাবে লাভ হবে।”
advertisement
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন জানান, “চাপড়ামারি জঙ্গলের পাঁচটি বনবস্তির মধ্যে পানঝোরা বনবস্তিতে এই ক্যাম্পটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এবার ক্যাম্পটি আরও পরিবেশবান্ধব করে তোলা হচ্ছে, যাতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে। স্থানীয় লোকসংস্কৃতি দলগুলোকেও আগের মতোই যুক্ত করা হবে। আশা করছি, শীঘ্রই পর্যটকরা নতুন চেহারায় এই ক্যাম্প উপভোগ করতে পারবেন।”
এই উদ্যোগের ফলে প্রায় ৬০-৬৫ জন স্থানীয় বাসিন্দার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে শুধু পর্যটক নয়, স্থানীয় মানুষদের জন্যও এটি আশার আলো বয়ে আনছে। ডুয়ার্স ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তা হলে ঝটপট ব্যাগ গুছিয়ে ফেলুন! খুব শীঘ্রই নতুন চেহারায় খুলছে চাপড়ামারি ওয়াইল্ডার্নেস ক্যাম্প!
সুরজিৎ দে





