ফুল ব্যবসায়ীদের কথায়, এ বছর বর্ষার শেষ দিকের অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন অঞ্চলের ফুলবাগানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। বহু জায়গায় জমে থাকা জলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে ফুলের চারা। ফলে ফুলের উৎপাদন হয়েছে কমে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে আমদানিতে। কলকাতার আশপাশ থেকে শুরু করে নদিয়া, হুগলি, হাওড়া – সব জায়গা থেকেই এ বছর ফুল আসছে ঠিকই। তবে আগের তুলনায় খানিক কম পরিমাণে। অন্যদিকেই ভিন রাজ্য থেকেও ফুলের রমরমা। বেঙ্গালুরু গোলাপ কিংবা বেঙ্গালুরু জিপসির চাহিদা রয়েছে বাজারে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাঘের হানায় ফের প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর! নৌকায় বসে থাকার সময় হামলা, টানতে টানতে নিয়ে গেল জঙ্গলে
স্থানীয় এক ফুল ব্যবসায়ীর কথায়, “বর্ষার ক্ষতি এখন পুরো বাজারটাই টের পাচ্ছে। চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুল তো চাহিদা বাড়লেই দাম উর্ধ্বমুখী হয়। এই মরশুমে সেটা আরও বাড়বে।” একই সুর অন্য বিক্রেতাদের মুখেও। বিয়ের মরশুমে সাধারণত চাহিদা বাড়ে গোলাপ ও রজনীগন্ধার মতো ফুলেরও। তাই এগুলির দামও যে বাড়বে, তা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন তারা। ফুল বিক্রেতাদের অনুমান, মরশুমের চাহিদা পূরণে যদি আমদানি স্থিতিশীল না হয়, তবে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে বেশিরভাগ শীতকালীন ফুলের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এতে চাপ পড়বে সাধারণ ক্রেতাদের উপরেও। তা সত্ত্বেও রঙিন ফুলে সাজানো বাজারের মধ্যেই উৎসবের আবহ ফুটে উঠেছে জলপাইগুড়িতে। বিয়ে থেকে পুজো, সব উৎসবেই ফুল অপরিহার্য। আর সেই ফুলের বাজার যদি মরশুমের শুরুতেই দাম বাড়ার বার্তা দেয়, তবে চিন্তা বাড়বেই। ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই আশঙ্কার মধ্যেই রয়েছেন। তবে আশায় বুক বেঁধেছেন বিক্রেতারা। মরশুমের মধ্যভাগে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে হয়তো বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলেই তাঁরা মনে করছেন।





