সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়স পার হলে কোনও অনাথ কিশোর-কিশোরীকে হোমে রাখা যায় না। ফলে হোম থেকে বেরিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। ছেলেরা কোনওভাবে কাজের খোঁজ পেলেও, মেয়েদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতেই সমাজকল্যাণ দফতরের নতুন উদ্যোগ।
advertisement
জলপাইগুড়ি জেলায় সরকারি কোরক হোম ও দুটি বেসরকারি মেয়েদের হোম মিলিয়ে ৬ বছরের ঊর্ধ্বে কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩০ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছে। এর মধ্যে অনাথের সংখ্যা ১০ থেকে ১২ জন। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সুদীপ ভদ্র জানান, ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী নিঃসন্তান দম্পতিরা পালক পিতা-মাতা হতে পারবেন। প্রথমে দু’বছর সরকারি নিয়ম মেনে পালক পরিবারে থাকবে ওই কিশোর বা কিশোরী। এই সময়ের মধ্যে পারিবারিক বোঝাপড়া ভাল হলে আইনি প্রক্রিয়ায় দত্তক নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে সন্তান হারানো বহু দম্পত্তি পালক পিতা-মাতা হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সম্প্রতি ডুয়ার্সের এক নিঃসন্তান দম্পতি জলপাইগুড়ির একটি বেসরকারি হোম থেকে এক কিশোরীর দায়িত্ব নিয়েছেন। বর্তমানে সে মেয়েটি তাদের পরিবারকেই নিজের মেনে নিয়ে বসবাস করছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোরক হোমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট গৌতম দাস জানান, পালক পরিবারে থাকা কিশোরদের প্রতি মাসে বাড়ি গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। দু’পক্ষের মানসিক বন্ধন দৃঢ় হলেই দত্তকের পথে এগোবে প্রশাসন। মানবিক এই উদ্যোগে নতুন জীবনের আশায় তাকিয়ে রয়েছে বহু অনাথ কিশোর-কিশোরী। এই অনাথ কিশোর কিশোরীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার্থে এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই আশাবাদী জেলা প্রশাসন!





