বর্ষার জলে ভেসে এসেছে ডেঙ্গির আতঙ্ক। নতুন জমা জলেই তৈরি হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে, স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে—সেই তালিকায় রয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের বেশ কিছু ওয়ার্ডও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। পঞ্চায়েত ও পৌরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে ডেঙ্গি প্রতিরোধে গৃহীত হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। পৌরসভার কর্মীরা প্রতিদিন স্প্রে করছেন শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে, নজর দেওয়া হচ্ছে নর্দমা, নদীর ধার ও জমা জলে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভুটানের আবহাওয়ার খবর ডুয়ার্সে! তাও আবার ৭২ ঘণ্টা আগে, লাভটা কোথায় জানেন?
জেলা শাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, “জেলায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র বেশি। আতঙ্কের কিছু নেই, তবে সতর্কতা জরুরি। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।” তবে এই প্রথম নয়—২০২২ সালেই একবার ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল জেলায়, সেই বছর হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন ডেঙ্গিতে। পুনরাবৃত্তি রুখতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে নিযুক্ত করা হয়েছে সমীক্ষাকর্মী। তাঁদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে প্রাথমিক স্তরেই সংক্রমণ চিহ্নিত করা যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সংশ্লিষ্ট মহলের বার্তা, “ব্যক্তিগত সচেতনতাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রতিরোধক। বাড়ির আশেপাশে জমা জল জমতে দেবেন না, নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন ফুলদানী ও ফ্রিজের ট্রে’র মত জায়গা।” অন্যদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের কড়া বার্তা—‘সতর্ক থাকুন, সাবধান থাকুন। আতঙ্ক নয়, প্রতিরোধই হোক অস্ত্র।’
সুরজিৎ দে





