গরুমারা জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত বুধুরাম বনবস্তি। সুবজ ঘেরা জঙ্গলের মাঝে মা, বাবা, ভাই বোনকে নিয়ে ভালই কাটছিল ছোট্ট আকাশের শৈশব। আচমকা বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং তার পরেই মায়ের সংসার ছেড়ে চলে যাওয়া – এক লহমায় আকাশকে মানসিক ভাবে শৈশব থেকে যুবকে পরিণত করে দেয়।পরিস্থিতির চাপে বন্ধ হয়ে যায় আকাশের স্কুলের পড়া। তখন বয়স সবে দশ। ঘরে মা, বাবা হারানো খুদে ভাই বোন। দু’ বেলা দু’ মুঠো খাবারের জন্য যোগ দেয় বন বস্তিতে চলা বিভিন্ন কাজকর্মে, সেই থেকেই মানব সংসারে টিকে শুরু লড়াই।
advertisement
আরও পড়ুন : মাটি, পাথর নিয়ে চলবে গবেষণা! সর্বভারতীয় পরীক্ষায় চোখধাঁধাঁনো রেজাল্ট প্রত্যন্ত গ্রামের পড়ুয়ার
সেই সময় বনবিভাগের গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আওতায় পাওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের এক কোণে বসে নবম শ্রেণীর নোট খাতার পাতা ওল্টায় আকাশের বোন স্বপ্না ওঁরাও। রঙ খেলায় মন নেই তার।
সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জেদ। স্বপ্নার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখেছে দাদার লড়াই। নিজেও উপলব্ধি করে এই কঠিন সংগ্রামের যন্ত্রণা। তাই সে বড় হয়ে দাদার কষ্ট ঘোচাতে হতে চায় পুলিশ। ভবিষ্যতে পুলিশ কর্মী হয়ে দাদার কাঁধে হাত রাখতে মরিয়া স্বপ্না ওঁরাও। স্বপ্নাকে দেখে অনুপ্রেরণা পায় আরও শত শত স্বপ্না।