কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “একটা সময় কোচবিহারের রাজারা এই পুজো করতেন এবং পুজোর সমস্ত দায়িত্বভার সামলাতেন। তবে বর্তমান সময়ে মদনমোহন বাড়ি মন্দির দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড পরিচালনা করে। তাই এখন পুজোর সমস্ত বিষয় দায়িত্ব সহকারে পালন করেন দেবোত্তর ট্রাস্টবোর্ডের কর্মকর্তারা। তবে রাজা আমলের কোন রীতি প্রথার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করা হয়নি এখনও। জগদ্ধাত্রী পুজোর পুরোহিত খগপতি মিশ্র জানান, “এই পুজো মোট তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিনের মধ্যে পুজো সমাপ্ত করে বিসর্জন হয় জগদ্ধাত্রী দেবীর।”
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বারোভাজাতেই’ জিতেছেন ‘হাজার’ হৃদয়! গৌতমের সাইকেল দেখলেই ছুটে যায় আট থেকে আশি
মদনমোহন বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে আসা এক ভক্ত প্রমতেশ কর্মকার জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে রাজ আমলের এই মন্দির কোচবিহারবাসীর এক আবেগের জায়গা। শুধুই জেলাবাসি নয় দূর-দূরান্তের বহু ভক্তবৃন্দ এই মন্দির দেখতে ছুটে আসেন কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে। এই মন্দিরে রাজ আমল থেকেই আয়োজিত হয়ে আসছে জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো বেশ অনেকটাই প্রসিদ্ধ সকলের কাছে। তাইতো এই পুজো উপলক্ষে বহু মানুষের ভিড় দেখতে পাওয়া যায় মদনমোহন বাড়িতে। তিনিও প্রতিবছর ছুটে আসেন এই পুজো উপলক্ষে। জেলার পর্যটকদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণের জায়গা এই মদনমোহন বাড়ি।”
আরও পড়ুন: বাজারে একে দেখে নাক সিঁটকান? কোলেস্টেরল-ব্লাড সুগারের মোক্ষম দাওয়াই সস্তার এই সবজি
রাজ আমলের রীতি মেনেই করা হয় দেবীর মূর্তি নির্মাণ। পুজোর আগে রাজ আমলের গয়না পরিয়ে সজ্জিত করা হয় দেবী মূর্তিকে। তারপর তিনদিন ধরে চলে এই বিশেষ পুজো। নবমী তিথিতে তিন প্রহরের পুজো সমাপ্ত করে বিসর্জন সম্পন্ন করা হয় দেবীর। দীর্ঘ প্রাচীন এই নিয়মের আজও কোনোও অন্যথায় হয়নি।
Sarthak Pandit