শহরের হকার্স কর্নার, হিলকার্ট রোড, রাজগঞ্জ এবং আশেপাশের এলাকা জুড়ে বহু দোকানে চলছে জাতীয় পতাকার বিকিকিনি। দোকানের মধ্যেই চলছে সেলাই, প্রিন্টিং, প্যাকেজিংয়ের কাজ। যেন একেকটি ছোট কারখানা। বহু দোকানে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও যুক্ত হয়েছেন এই কাজে। অনেকে পরিবারকেও কাজে লাগিয়েছেন এই সিজনাল প্রোডাকশনে।
advertisement
স্থানীয় ব্যবসায়ী এমডি তাহির জানালেন, “এবছর বড় পতাকার চাহিদা প্রচুর। বিশেষ করে পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুল, সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি দফতর থেকে অর্ডার আসছে।” তিনি আরও জানান, “একটি বড় পতাকার দাম প্রায় ৫০০–৭০০ টাকা। পাশাপাশি রয়েছে ছোট ছোট হ্যান্ড ফ্ল্যাগ, ব্যাজ, ব্যানার ও ট্রাইক্যালার গেঞ্জি, যারও চাহিদা ব্যাপক।”
আরও পড়ুন : এই বছর রাখিতে শিলিগুড়ির বাজারে ‘নতুন ট্রেন্ড’! লুটেপুটে নিচ্ছে বাচ্চা থেকে বুড়ো, চোখ ফেরানো দায়
মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েকশো টাকার মধ্যে বিভিন্ন মাপের জাতীয় পতাকা পাওয়া যাচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছে ব্যাচ, টুপি, হেয়ারব্যান্ড, গেঞ্জি, স্কার্ফ, পতাকা প্রিন্টেড মুখোশ, গাড়ির ছোট পতাকা ইত্যাদি। শহরের ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে এই সময়টা উপার্জনের বিশেষ সুযোগ। অনেক দোকানদার সিজনাল স্টল খুলে শুধু এই সময়েই ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ শৈশবের দেশপ্রেমের আবেগকে বাণিজ্যের ছোঁয়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন হাজার মানুষের হাতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিলিগুড়ির পতাকা তৈরি শিল্প বর্তমানে শুধু শহরের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই, তা পৌঁছে গেছে সিকিম, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক ও ডুয়ার্সের প্রান্তে প্রান্তে। স্বাধীনতা দিবস মানেই শুধু অনুষ্ঠান বা ছুটি নয়, শহরের বহু মানুষের কাছে এটি রোজগারের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। আর এই উদ্যোগের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে শহরের মাটি ও মানুষের সম্পর্ক, দেশপ্রেম যেখানে আবেগ নয়, বরং জীবনেরই একটি বাস্তব দিক।