বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে সব জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে গাড়ি বেশি চলাচল করে. সেই বনাঞ্চলগুলিতেই এই আগুন লক্ষ্য করা যায়। ইতিমধ্যেই শীত পেরিয়ে শুরু হয়েছে বসন্ত। আর এই বসন্ত মানেই পাতা ঝরা মরশুম। স্বাভাবিকভাবে জঙ্গলমহলের অধিকাংশ গাছের শুকনো পাতা ঝরে পড়েছে। চাদরের মতো শুকনো পাতায় বিছিয়ে গিয়েছে গোটা জঙ্গল। তবে মূলত এই সময় ঘটে বিপত্তি। অসচেতনতার কারণে জঙ্গলে লাগে আগুন। কখনও জ্বলন্ত সিগারেট ফেলে দেওয়া, আবার কখনও জঙ্গলের শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে দেয় মানুষ। এর ফলে আগুনের শিখায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় জঙ্গলের বিস্তীর্ণ অংশ।
advertisement
কার্শিয়াং ফরেস্ট ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পাণ্ডে জানান, বসন্তকালে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় এই আগুন লাগার ঘটনায় মানুষই দায়ী। মূলত লক্ষ্য করা যায় যেসব জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মানুষের যাতায়াত রয়েছে এবং গাড়ি চলাচল বেশি সেই সমস্ত এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে উঠে আসে। যে কোনও জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তার জন্য স্পেশ্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি রেঞ্জের জন্য জারি রয়েছে হেল্পলাইন নম্বর। যে কোনও ঘটনার খবর আসলেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছবে স্পেশ্যাল টিম।
বসন্ত আসলেই গাছ থেকে ঝরা শুকনো পাতায় বিছিয়ে যায় গোটা জঙ্গল। সামান্য অসচেতনতার অভাবে জঙ্গলের ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। কর্তৃপক্ষ মনে করছে মানুষেরও সচেতন হওয়া উচিত। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বিড়ি সিগারেট জাতীয় দ্রব্য না খাওয়া এবং সাবধানতা বজায় রাখা একজন সচেতন নাগরিকের মূল কর্তব্য।
সুজয় ঘোষ