বিষয়টি নিয়ে সরাসরি বন দফতরের আধিকারিকদের কাছেও অভিযোগ করেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানান তারা। অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারের এই উত্তর ও দক্ষিণ লতাবাড়ির একাধিক জায়গায় জঙ্গল ঘেঁষে একপ্রকার ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে নানা রেস্তোরাঁ, রিসোর্ট। আর সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত নানা রঙের লাইট লাগিয়ে চলে দেদারে নাচ-গান। আর এই কারণেই হাতি পথ ভুলে উত্তর ও দক্ষিণ লতাবাড়ির একাধিক এলাকায় প্রবেশ করে ও তান্ডব চালায় বলে দাবি এলাকার যৌথ বনসুরক্ষা কমিটির সদস্যদের।
advertisement
তাদের কথায়, নিয়ম অনুযায়ী জঙ্গলের তিন কিলোমিটার এলাকায় কোন প্রকার নির্মাণ কাজ বৈধ নয়। তবে এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে অনেক অবৈধ নির্মাণ। তারা জানান, এগুলি সব হাতির করিডোরে রয়েছে, যার কারণে হাতি পথ ভুলে গ্রামে প্রবেশ করছে। এ নিয়ে বন দফতরের কাছেও তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উত্তর ও দক্ষিণ লতাবাড়ির যৌথ বনসুরক্ষা কমিটির সদস্য প্রশান্ত বর্মন জানান, “বিষয়টি সরাসরি উপক্ষেত্র অধিকর্তাকে জানিয়েছি। দিন প্রতিদিন এই অবৈধ নির্মানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এগুলো রুখতে বন দফতরের কাছে তদন্তের আর্জি জানিয়েছি।” করিডর না পেয়ে হাতি ভুল পথে গ্রামে প্রবেশ করার বাড়ছে দুর্ঘটনা। ঘরবাড়ি ভাঙচুর নতুন কথা নয়, প্রাণ যাচ্ছে মানুষেরও। এ বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা হরিকৃষ্ণণ পিজে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে।”
Annanya Dey